বিচারকদের সময়ের সদ্ব্যবহার করতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা সময় মতো কোর্টে উঠবেন, সময় মতো নামবেন। সময় শেষ হওয়ার আগে কোর্ট থেকে নামবেন না। দুপুরে খাওয়ার পরে আবার কোর্টে বসবেন। বিকেল বেলায় ঠিক নির্দিষ্ট সময়ের পরে কোর্ট থেকে নামবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। নিজেদের ভবনে এ সভার আয়োজন করে আইনজীবী সমিতি। সভায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকসহ আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং জেলার আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কোর্টের সময় পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করতে হবে। আগে কোর্টের সময় পুরোপুরি সদ্ব্যবহার হয়নি। এ জন্য মামলার স্তূপ হয়ে গেছে। আমি এ জন্য কোর্টের টাইমিংয়ের কিছু অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করেছি। এতে অনেকের কষ্ট হতে পারে, কিন্তু কয়েক দিন পরেই অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। এটা হলে মামলার ডিসপজাল (নিষ্পত্তি) দ্বিগুণ হবে। এখনো আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা আছে। তারা বিচারপ্রার্থী হয়ে আদালতে আসছে। সুতরাং আমি আশা করব আপনারা কোর্টের সময়ের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করবেন।’
মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি যে কুষ্টিয়ায় মামলা ফাইলিংয়ের চেয়ে ডিসপজাল বেশি। এর কৃতিত্ব কুষ্টিয়ার আইনজীবী ও বিচারকদের। এই ধারা বজায় রাখতে পারলে ভবিষ্যতে জুডিশিয়াল সম্মেলনে যেসব জেলায় ফাইলিংয়ের চেয়ে ডিসপজাল বেশি হবে সেসব জেলা জজকে পুরস্কৃত করব।’ কুষ্টিয়াতে একটি পুরস্কার অবশ্যই আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসন কায়েম করার জন্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলা করার উদ্যোগ নিয়ে ইনডেমনিটি অরডিনান্স বাতিল করিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছেন, তাদের বিচার করেছেন। এতিমের অর্থ যারা চুরি করেছেন, তাদের বিচার করেছেন। ভবিষ্যতে আইনের শাসন আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাঁর যা যা করার দরকার, আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে পারি, তিনি তাই করবেন।’
মতবিনিময় সভা শেষে অতিথিরা কুষ্টিয়ায় নবনির্মিত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবনের উদ্বোধন করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অনুপ কুমার নন্দী।