মুসলমান নাগরিকদের প্রতি চীনের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। গতকাল বুধবার পম্পেও এই সমালোচনা করেন। আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চীনে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর দেশটির কর্তৃপক্ষের ব্যাপক নির্যাতন, নিপীড়ন ও আটক করে রাখার অভিযোগ আছে। এই প্রেক্ষাপটে উইঘুর সম্প্রদায়ের সাবেক এক বন্দী ও কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পম্পেও। তাঁরা তাঁদের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা পম্পেওর কাছে বর্ণনা করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত মঙ্গলবার মিহরিগুল তুরসান নামের এক উইঘুর সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি চীনে কারাগারে ছিলেন। বন্দী অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তাঁর এই অভিজ্ঞতার কথা তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসে প্রকাশ্যে বলেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, পম্পেও অন্য তিনজন উইঘুর সদস্যের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁদের স্বজনেরা চীনে বন্দী আছেন।
পরে পম্পেও এক টুইটে বলেন, মুসলমানদের প্রতি চীন যে আচরণ করছে, তা লজ্জাজনক ভণ্ডামি। চীন যাঁদের অযৌক্তিকভাবে আটকে রেখেছে, তাঁদের অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে। দমননীতি বন্ধ করতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের প্রতি চীনের লজ্জাজনক ভণ্ডামি বিশ্ব মেনে নিতে পারে না। একদিকে চীন তাঁর নিজ দেশেই ১০ লাখের বেশি মুসলমানদের নির্যাতন-নিপীড়ন করছে, অন্যদিকে তাঁরা জাতিসংঘে সহিংস ইসলামি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে রক্ষা করছে।
পম্পেও মূলত পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে রক্ষায় চীনের ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনে নিশ্চিতভাবে লাখো উইঘুর আটক আছেন। আমরা চীনকে বোঝাতে কাজ করছি যে এই চর্চা জঘন্য। এটা বন্ধ করা উচিত।’