অপমানের বোঝা সইতে না পেরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও শাখা প্রধানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার মামলা তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম প্রসিকিউশন শাখায় ওই চার্জশিট জমা দেন।
ঢাকার সিএমএম আদালতে রাজধানীর পল্টন থানার প্রসিকিউশন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান. মামলায় তৎকালীন স্কুল শাখার অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তারকে চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমানিত হয়নি বলে শ্রেনী শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। তিন আসামিই জামিনে রয়েছেন।
অরিত্রির আত্মহত্যার ঘটনায় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে দন্ডবিধির ৩০৫ ধারায় ওই তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। গত ২ ডিসেম্বর স্কুলে সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষকরা অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের (বাবা-মা) ডেকে পাঠায়। পরের দিন স্কুলে গেলে কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রির সামনে তাকে অনেক অপমান করে। ওই অপমান ও পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
উল্লেখ্য, আত্মহত্যার ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ওই তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়।