প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে গোয়েন্দা নজরদারি

বিশেষ প্রতিনিধি

এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর নজর রাখা হচ্ছে।

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

universel cardiac hospital

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে জাতীয় কমিটির সদস্য ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) শেখ নাজমুল আলম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এসএসসি পরীক্ষার মতো এবার এইচএসসি পরীক্ষাতেও নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি এবার আগাম শুরু করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চলছে মনিটরিং। সাইবার ক্রাইম ইউনিটে লোকবল বাড়ানো হয়েছে। তারা ২৪ ঘণ্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি করছে।

শেখ নাজমুল আলম বলেন, কেউ যদি ভুয়া প্রশ্নপত্রও বেচা-কেনা করে, তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। শিক্ষার্থী বা অভিভাবক, শিক্ষক বা অন্য কোনো ব্যক্তি যেই জড়িত থাকুক না কেন, সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, ছাপানো ও বণ্টনের দায়িত্ব পালন করবেন তাদেরকে এবার আলাদাভাবে নজরদারি করা হবে বলে জানান এই কর্মকতা। তিনি বলেন, প্রশ্ন প্রণয়নের সঙ্গে জড়িতদের সন্তানরাও যেন বাড়তি সুবিধা নিতে না পারে, সেটিও নজরে আনা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে। তা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।

এদিকে, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) মাঠে নেমেছে জোরালোভাবে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সিআইডির পক্ষ থেকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে। জাতির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশেই প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া শাখার এআইজি সোহেল রানা। তিনি বলেন, র‌্যাব, পুলিশ, ডিবি, সিআইডির সবাই এক যোগে সারাদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া কঠোর নির্দেশনায় সকলকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। প্রত্যেক গোয়েন্দা সেল এ নিয়ে কাজ করছে। অনেকে ছদ্মবেশেও মাঠে তৎপর রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার মতো এইচএসসি পরীক্ষাতেও নিরাপত্তার খাম অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা নিশ্চিত করবে যে, পরীক্ষার হলে যখন খোলার কথা তার আগে খামটি খোলা হয়নি।’

এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর নজর রাখা হচ্ছে।

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।


প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে জাতীয় কমিটির সদস্য ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) শেখ নাজমুল আলম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এসএসসি পরীক্ষার মতো এবার এইচএসসি পরীক্ষাতেও নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি এবার আগাম শুরু করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চলছে মনিটরিং। সাইবার ক্রাইম ইউনিটে লোকবল বাড়ানো হয়েছে। তারা ২৪ ঘণ্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি করছে।


শেখ নাজমুল আলম বলেন, কেউ যদি ভুয়া প্রশ্নপত্রও বেচা-কেনা করে, তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। শিক্ষার্থী বা অভিভাবক, শিক্ষক বা অন্য কোনো ব্যক্তি যেই জড়িত থাকুক না কেন, সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, ছাপানো ও বণ্টনের দায়িত্ব পালন করবেন তাদেরকে এবার আলাদাভাবে নজরদারি করা হবে বলে জানান এই কর্মকতা। তিনি বলেন, প্রশ্ন প্রণয়নের সঙ্গে জড়িতদের সন্তানরাও যেন বাড়তি সুবিধা নিতে না পারে, সেটিও নজরে আনা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে। তা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।

অনেকে ছদ্মবেশেও মাঠে তৎপর রয়েছে
এদিকে, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) মাঠে নেমেছে জোরালোভাবে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সিআইডির পক্ষ থেকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে। জাতির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশেই প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া শাখার এআইজি সোহেল রানা। তিনি বলেন, র‌্যাব, পুলিশ, ডিবি, সিআইডির সবাই এক যোগে সারাদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া কঠোর নির্দেশনায় সকলকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। প্রত্যেক গোয়েন্দা সেল এ নিয়ে কাজ করছে। অনেকে ছদ্মবেশেও মাঠে তৎপর রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার মতো এইচএসসি পরীক্ষাতেও নিরাপত্তার খাম অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা নিশ্চিত করবে যে, পরীক্ষার হলে যখন খোলার কথা তার আগে খামটি খোলা হয়নি।’


বৈঠক সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না, তিনি যেই হোন না কেন। যারা প্রশ্নপত্র বহন করে নিয়ে যান তারাও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধু কেন্দ্রসচিব একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন, যেটিতে কোনো ধরনের ছবি তোলা যাবে না বা ইন্টারনেট সংযোগ নেই। কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, এই দেশে জঙ্গি দমন করা সম্ভব হয়েছে। মাদককে দমন করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখন সময় পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধের। যারা আমাদের নতুন প্রজন্ম, তাদের শিক্ষাজীবন নষ্ট করার অপচেষ্টা চালায় যারা তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করি কেউ কোনোভাবেই এর সঙ্গে যুক্ত হবেন না।
এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই হলে প্রবেশ করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এরপরে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। যদি অনিবার্য কারণবশত হয় সেক্ষেত্রে তাদের নাম, রোল, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণসহ সমস্ত কিছু রেজিস্ট্রারের কাছে লিপিবদ্ধ করে সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাবোর্ডে পাঠাতে হবে।

ফেসবুকে গুজব রুখতে পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, গুজব রটনা প্রতিরোধে বিটিআরসি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সেল দায়িত্ব পালন করবে। সচেতনতামূলক তথ্য গণমাধ্যমের সহায়তার প্রচার করা হবে।

পরীক্ষার্থীদের সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার আগে কোথাও প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় কি না, এ ধরনের সন্ধানে সময় নষ্ট করবে না। কোনো অভিভাবক সন্তানদের এ ধরনের অন্যায় প্রশ্রয় দেবেন না। পরীক্ষা কেন্দ্রের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, আগামী ১ এপ্রিল থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হতে যাচ্ছে এইচএসসি, আলিম ও কারিগরি পরীক্ষা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে