ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের গভীর সম্পর্কে রয়েছে বলে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের মানুষদের আশ্রয় দিয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীর।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জ-কলকাতা নৌ সার্ভিস চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
রাত ৯টায় সার্ভিসটির প্রথম যাত্রা অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ক্রুজ শিপ ‘এমভি মধুমতি’ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলায় মেরি এন্ডারসনের ভিআইপি ঘাট থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে ভারতের সঙ্গে গঙ্গা প্রবাহ চুক্তি করেন। এবার উন্মোচিত হচ্ছে নৌ-পথে দেশের বাইরে ভ্রমণের এক অন্য দিগন্ত। ২০১৯ আমাদের এই সাফল্যের বাতিঘর হয়ে থাকবে। এ ক্রুস শিপ এ অঞ্চলে যোগাযোগের এক নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই যোগাযোগ আঞ্চলিক ও সৌহার্দ্যের এক নতুন মাত্রা। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এর মাধ্যমে দেশের সুন্দরবনসহ নানা পর্যটন স্পট দেখতে পারবে যাত্রাপথে।
একই সময়ে ভারতের ক্রুজ শিপ মেসার্স আরভি বেঙ্গল গঙ্গা কলকাতা থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। জাহাজটি বরিশাল, বাগেরহাটের মংলা, সুন্দরবন, খুলনার আন্টিহারা-ভারতের হলদিয়া রুট হয়ে কলকাতায় যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে নারায়ণগঞ্জ-কলকাতা রুটে চালু হচ্ছে ও নৌযান যাত্রীসেবা।
বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ সেবা চালু হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে সফল হলে ঢাকা থেকে কলকাতায় নিয়মিতভাবে নৌযান চলবে। রুটটির পরিধি বাড়িয়ে উত্তর ভারতের আসামের গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। এ জন্য পরীক্ষামূলকভাবে সুন্দরবন, বরিশাল, চাঁদপুরের মতো আকর্ষণীয় এলাকার ওপর দিয়ে নৌযানগুলো ঘুরে যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।