আলোচনা সভায় রেগে গেলেন ড. কামাল

ডেস্ক রিপোর্ট

ড. কামাল হোসেন
ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি

ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যকে আরো সুসংহত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন।

আজ রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

universel cardiac hospital

‘অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দিতে হবে ও জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা কর’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ড. কামাল বলেন, আজকে যে দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আমি এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একমত পোষণ করছি। এই দাবি পূরণে আমাদের ঐক্যকে আরো সুসংহত করতে হবে।

তিনি বলেন, সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। এটা সংবিধানে লেখা আছে। বঙ্গবন্ধু যেটা স্বাক্ষর করে গেছেন। সকল ক্ষমতার মালিক যদি জনগণ হয় তাহলে অবশ্যই শাসন ব্যবস্থা হবে গণতন্ত্র। সকল দলের মানুষের মধ্যে এ ব্যাপারে ঐক্য থাকতে হবে।

কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দ্বিমত হলে আমাদের ঐক্যে আঘাত আসে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে দর্শক সারি থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় ড. কামাল হোসেনে চুপ করে থাকেন।

স্লোগান বন্ধ হলে ড. কামাল বলেন, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে। এখানে সবাই বলেছেন, তাদেরকে (খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দি) অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমিও তাদের মুক্তির ব্যাপারটি পুরোপুরি সমর্থন করি।

এসময় গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু ড. কামালের কাছে গিয়ে কিছু বলেন। তখন তিনি কিছুটা রেগে গিয়ে বলেন, আমি কোনো কথাই বলব না। সবাই যা বলেছে আমি তো তাতে ঐক্যমত পোষণ করেছি।

আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন না। অবিলম্বে আমি তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। তিনি বাইরে বের হলে জনগণকে ধরে রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, সরকার ঐক্যকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে। বিএনপি যদি ফ্যাক্টর না হয় তাহলে বিএনপি নিয়ে এত কথা কেন?

এ সময় তিনি দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আহ্বান জানান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা.  জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্টের নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাঈদ, নূরুল আমিন বেপারী, শাহ আহমেদ বাদল, রেজা কিবরিয়া, প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে