রাজধানীর বনানীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভীর উল ইসলাম এবং ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুর ২টায় দুজনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করে।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রকিব এ বিষয়ে বলেন, ‘ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসিন আহসান চৌধুরীর আদালতে আজ বিকেল ৩টায় এ মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।’
এদিকে মামলাটি তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) ওবায়দুল রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সকালে বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তভার ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
গত বৃহস্পতিবার বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ণ (এফ আর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন এবং হাসপাতালে আরো একজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ৭৩ জন।
এফ আর টাওয়ারে আগুনের হতাহতের ঘটনায় গতকাল শনিবার বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।
মামলায় কাশেম ড্রাইসেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর উল ইসলাম, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ও বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে আসামি করা হয়।
গতকাল শনিবার রাতেই তাসভীর উল ইসলাম ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বরে ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। পরে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ভবনটিকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করে নির্মাণ করা হয়। ডেভেলপার কোম্পানি ভবনটির ২০ ও ২১তম তলাটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুটি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভীর উল ইসলাম। এরপর তিনি নকশা পরিবর্তন করে ছাদের ওপর আরো দুটি ফ্লোর নির্মাণ করেন।