বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ডাইনিং বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের পঞ্চম দিনের মাথায় রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই কঠোর পদক্ষেপ নেয়। এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।
রবিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। উপচার্যের পদত্যাগ দাবিতে তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে তৃতীয় দিনের মাথায় উপাচার্য তার কটূক্তিমূলক বক্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে এতেও সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ওইদিন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল এবং তার (উপাচার্য) কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
চতুর্থ দিন শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তারা। এরপর ওই রাতে হলে আবসিক হলের ডাইনিং চালু থাকলেও রবিবার সকাল থেকে সকল আবাসিক হলের ডাইনিং বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদকারীদের উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এরই প্রতিবাদে ২৭ মার্চ থেকে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং ওইদিন বিকাল ৫টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এই নির্দেশ অগ্রাহ্য করে হলে অবস্থান নিয়ে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকায় অবস্থানরত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক মুঠোফোনে বলেন, তার দুঃখ প্রকাশের পরও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অযৌক্তিক। এই আন্দোলন এখন আর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে একটি মহল এই আন্দোলনে ইন্ধন যোগাচ্ছে। বিষয়টি তিনি শিক্ষা মন্ত্রীকে অবহিত করেছেন বলেও জানান তিনি।