বিশ্ব বাঙালি পুরস্কার-২০১৯’ পাচ্ছেন পাঁচজন বিশিষ্ট বাঙালি। তাঁরা হলেন- বাংলাদেশের অধ্যাপক ইমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এবং ভারতের অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র মুখোপাধ্যায়, কবি পার্থ বসু ও অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য।
শনিবার বিশ্ব বাঙালি সংঘের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
রাজধানীর পরীবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি, কবি ও সম্পাদক, রাজু আহমেদ মামুন। মনোনীত কীর্তিমান বাঙালিদের নাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আখতারুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশ্ব বাঙালি সংঘের সদস্য মজিব মহম্মদ। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রবীণ সদস্য খন্দোকার যুবায়ের হাসান, লোকমান তাজ, শামিম আহমেদ, তুহিন জনি, মৌরী তানিয়াসহ আরো অনেকে।
অধ্যাপক ইমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য বিশ্ব বাঙালি উপাধি ও পুরস্কারের মনোনীত করা হয়।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজের আশি লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে সৃজনশীল বই পড়া আন্দোলনে যুক্ত করে উন্নত জাতি গঠন প্রক্রিয়ায় বিশেষ অবদানের জন্য বিশ্ব বাঙালি উপাধি ও পুরস্কারে মনোনীত করা হয়।
রাজধানীর পরীবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ব বাঙালি সংঘ। ছবি : ফেসবুক
অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র মুখোপাধ্যায়কে বিহারের মানভূম-সিংভূম বাংলা ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য বিশ্ব বাঙালি উপাধি ও পুরস্কারে মনোনীত করা হয়।
কবি পার্থ বসুকে কলকাতাসহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষা এবং বিপন্ন বাঙালিদের অধিকার রক্ষায় সাম্প্রতিককালে সামাজিক গণমাধ্যম থেকে গড়ে ওঠা বাংলাপক্ষ আন্দোলনের সক্রিয় পুরোধা ব্যক্তি হিসেবে বিশ্ব বাঙালি উপাধি ও পুরস্কারে মনোনীত করা হয়।
অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্যকে সম্প্রতি আসামে নিপীড়িত এবং সর্বহারা বাঙালিদের পক্ষে কলমযোদ্ধা হয়ে সম্মুখ সমরে লড়াই করার জন্য বিশ্ব বাঙালি উপাধি ও পুরস্কারে মনোনীত করা হয়।
২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এই সম্মাননা ও পুরস্কারের অর্থমূল্য আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হবে।