‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ দিয়েই বলিউড ধামাকা করেন আলিয়া ভাট। এটিই ছিল তার প্রথম সিনেমা। প্রযোজক-পরিচালক করণ জোহরের এই সিনেমা দিয়েই বলিউডে ডেবিউ করেন মহেশ ভাট কন্যা। সেই থেকে শুরু। এরপর একের পর এক হিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন আলিয়া। সেটা কখনো করণ জহরের সিনেমায় আবার কখনো অন্য কোনো পরিচালক, প্রযোজকের সঙ্গে।
বলতে গেলে আলিয়া এখন বি-টাউনের অন্যতম ব্যস্ত তারকা। ছয়-সাত বছরেই কেরিয়ারের শীর্ষে পৌঁছেছেন আলিয়া ভাট। বিভিন্ন রকম ছবিতে তার অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। কিন্তু সাফল্যের মধ্যেও একটি বিশেষ রোগে আক্রান্ত ছিলেন আলিয়া। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই স্বীকার করেছেন সে কথা।
আলিয়া জানিয়েছেন, তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন গত কয়েক মাস। কিন্তু উদ্বেগের কারণ জানতেন না। কোনো কারণ ছাড়াই প্রায় সব সময় কান্না পেত তার। এ সব তার কাজেরও ক্ষতি করেছিল।
আলিয়ার কথায়, ডিপ্রেশন হয়নি কখনো। কিন্তু উদ্বেগ হত খুব। গত পাঁচ-ছ’মাস ধরে টেনশন হত অকারণে। মানসিক ভাবে খুব দুর্বল লাগত। বন্ধুদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। অয়নকেও (‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির পরিচালক) বলেছি। সবাই বলত, উদ্বেগ চলে যাবে একটা সময়। আমার দিদি শাহিনেরও ডিপ্রেশন হয়েছিল। ওই সময় আমি শাহিনের লেখা বই পড়তাম।
উদ্বেগ থাকলেও ‘রাজি’, ‘গাল্লি বয়’-এর মতো ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন আলিয়া। পরে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে মানসিক অবস্থার উন্নতি হয় নায়িকার। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র সেট থেকেই রণবীর কাপূরের সঙ্গে আলিয়ার প্রেমের জল্পনা শুরু হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশের মতে, আলিয়াকে মানসিকভাবে সুস্থ করে তোলার পিছনে রণবীরের অবদান অনেকটাই।