সিরামিক পণ্যের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণমূলক ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে রোববার প্রাকবাজেট আলোচনায় এ সুপারিশ করেন বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।
এনবিআর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণমূলক এবং সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করলে দেশের সাধারণ মানুষ বেশি বেশি স্যানিটারি পণ্য ব্যবহার করবে। আর বেশি বিক্রি হলে বেশি রাজস্ব জমা পড়বে সরকারের তহবিলে।
এই নীতি নিয়ে আগামী অর্থবছরে জন্য সিরামিক শিল্প সম্প্রসারণের সহায়তা চান সংস্থার সভাপতি।
তিনি বলেন, স্যানিটারি কমোডের জন্য উন্নতমানের সিট কভার এবং ফ্ল্যাশিং ম্যাকানিজম দেশে তৈরি না হওয়ায় আমদানি করেই সংযোজন করতে হয়। আমদানি ব্যয় কমলে পণ্যের দামও কমবে। এর ফলে দেশের স্যানিটেশনে ব্যাপক প্রভাব রাখার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ তৈরিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে তিনি মোট ১৩টি প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- আমদানিকৃত পিপি প্যাকিংবেল্ট, ফ্ল্যাশিং ম্যাকানিজম ট্যাংক, ফিটিং, পটাশ সোপ, ক্লিনার ক্লিনিং পণ্য এবং প্রিন্টিং কালি থেকে তিন শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক এবং ২০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার।
সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, এসব পণ্যের মধ্যে যেসব আমদানি করতে হয় তার উৎপাদন দেশে নেই। তাই দেশীয় শিল্পের সমস্যা হবে না। আবার সাধারণ মানুষ বেশি হারে স্যানিটেশন পণ্য কিনতে পারবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি গ্যাসের দাম নতুন করে ১২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাবে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় আরও বেড়ে যাবে।
পরে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমি দেশে ওয়ালটনসহ কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন করেছি। আপনারা যেসব পণ্যের কথা বলছেন সেসবের অনেক পণ্যই দেশে তৈরি হয়। তাই নিয়ন্ত্রনমূলক শুল্ক কমালে লাভ-ক্ষতি কি হবে তা ভেবে দেখতে হবে।
এনবিআরের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, গ্যাসের দাম নতুন করে যে ১২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে তাও আন্তর্জাতিক মূল্যের চেয়ে অনেক কম। তাই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি রপ্তানিতে প্রভাব ফেলার কথা নয়।