সুপার ওভারে দিল্লির কাছে কলকাতার পরাজয়

ক্রীড়া ডেস্ক

রাবাদাকে ঘিরে দিল্লির খেলোয়াড়দে উল্লাস
রাবাদাকে ঘিরে দিল্লির খেলোয়াড়দে উল্লাস। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহিত

কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে দিল্লি ক্যাপিটালসের তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ খেলা শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে নিষ্পত্তি হয়েছে। এর আগে দুই দলের খেলা টাই হয়।

সুপার ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালস এক উইকেটে ১০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে খেলতে নেমে সুপার ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭ রান করতে সমর্থ হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। মূল ইনিংসে ৬২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলা আন্দ্রে রাসেল সুপার ওভারে রাবাদার বলে এলডব্লিউ হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরলে বিপদে পড়ে যায় কলকাতা। পরে উথাপ্পা ও কার্তিক দুজনের কেউই আর বাউন্ডারি হাঁকাতে না পারায় ৭ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় শাহরুখ খানের দলকে। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সৌরভের শিষ্যরা।

এর আগে শনিবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় টস জিতে কলকাতাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান দিল্লির অধিনায়ক স্রেয়াশ আয়ার।

নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৮৫ রান করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। জবাবে খেলতে নেমে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে এক ওভারের এলিমিনেটরে জয় পায় দিল্লি ক্যাপিটালস।

ফর্মে থাকা আন্দ্রে রাসেল শনিবার রাতে আবারও তার স্বভাবসুলভ ব্যাটিং তাণ্ডব চালান। মাত্র ২৮ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় এ তারকা ক্রিকেটার।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলমান ১২তম আসরের ১০ম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয় দিল্লি কেপিটাল।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা। ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যাওয়া দলটিকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান আন্দ্রে রাসেল ও অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক। ষষ্ঠ উইকেটে তারা ৫২ বলে ৯৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে তোলেন।

চারটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৬২ রান করা রাসেল সাজঘরে ফেরেন ক্রিস মরিসের বলে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডের পারফরম্যান্সে ভর করে চলতি আইপিলে টানা দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আগের দুই ম্যাচে দলকে জয় উপহার দিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা রাসেল আজও অসাধারণ ব্যাটিং করেন। এছাড়া ৩৬ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৫০ রান করেন দিনেশ কার্তিক। শনিবারের আগের দুই ম্যাচে সাকিব আল হাসানদের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে টানা জয় পেয়েছিল দিনেশ কার্তিকরা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে