‘দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ গ্রহণ এবং সংসদে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আইন ভঙ্গের পাশাপাশি নৈতিকতাও বিসর্জন দিয়েছেন’—এমন অভিযোগ এনে সুলতান মনসুরের সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে স্পিকার ও সিইসির কাছে পাঠাতে চিঠি প্রস্তুত করেছে গণফোরাম। দলের নির্বাহী সভাপতি ড. কামাল হোসেনের পক্ষে এই চিঠি দেওয়া হচ্ছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন দলের নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু।
গতকাল শনিবার চিঠিটি নিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম প্রতীক স্পিকারের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্পিকার দিল্লিতে থাকায় সেটি আর দেওয়া হয়নি। স্পিকার দেশে ফিরলে চিঠিটি তাঁকে দেওয়া হবে। একই দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছেও চিঠি হস্তান্তর করা হবে।
মোস্তফা মহসিন মন্টু গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজকে (গতকাল) অনেক চিঠি স্বাক্ষর করেছি। এর মধ্যে এই চিঠি দুটিও ছিল। তাঁর (সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ) সদস্য পদ বাতিল চেয়ে চিঠি দুটি ইস্যু করা হয়েছে। আমি নিজেই স্বাক্ষর করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্পিকারের সচিবের কাছে আমাদের দলের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম প্রতীক চিঠি পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু স্পিকার দিল্লিতে থাকায় দেওয়া যায়নি। তিনি দেশে ফিরে এলে তাঁকে এবং সিইসিকে চিঠি পৌঁছে দেওয়া হবে।’ চিঠির সঙ্গে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের গণফোরামের ফরম পূরণ করে দলটির প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ, শপথ নেওয়ার কারণে দল থেকে বহিষ্কারাদেশ এবং এর আগে তাঁর (মনসুরের) বরাবর পাঠানো চিঠির অনুলিপি সংযুক্ত করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে গণফোরামের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে এই চিঠি চূড়ান্ত করা হয়। চিঠির খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, সংবিধানের ৬৬(১) অনুচ্ছেদ ও আরপিওর ১২(১) ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে এবং পদে থাকতে অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে। সুলতান মনসুর নির্বাচনের আগে গণফোরামের প্রাথমিক সদস্য পদের ফরম পূরণ করে দলটিতে যোগ দেন। দলের হয়ে জোটের দেওয়া প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন এবং জয়ী হন। তাই তিনি দলের কাছে দায়বদ্ধ। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, সংবিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আইন ভঙ্গ করেছেন।