তুরস্কে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৩টার সময় বেশিরভাগ কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। তবে সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরোধীরা নিজেদের জয়ী বলে ঘোষণা করেছে।
দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি সাবাহ’র খবরে বলা হয়েছে, রোববারের ভোটের ৯১ শতাংশ ইতিমধ্যে গণনা শেষ হয়েছে। এতে ক্ষমতাসীন এরদোয়ানের দল জাস্টিট এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি)সঙ্গে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছে ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি (এমএইচপি)।
রাজধানী আঙ্কারায় বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপির) প্রার্থী মানসুর ইয়াভাস পেয়েছেন ৫০ দশমটিক ৬২ ভাগ। আর একেপির প্রার্থী মেহমেত ওজহাসেকি পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ২০ ভাগ। এখানে এরদোয়ানের প্রার্থী নিশ্চিত পরাজয়ের পথে।
তুরস্কের প্রধান শহর ইস্তাম্বুলে ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যায়, এরদোয়ানের মনোনিত প্রার্থী বিনালি ইলদ্রিম পেয়েছেন ৪৮ দশমিট ৭১ ভাগ। এই শহরে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল সিএইচপি প্রার্থী একরেম ইমামগলু পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৬৫ ভাগ। খুব সামান্য ভোটে এগিয়ে আছেন এরদোয়ানের প্রার্থী।
এ ছাড়া তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইজমিরে সিএইচপি প্রার্থী তাঙ্ক সোয়ার পেয়েছেন ৫৮ দশমিক ০৬ ভাগ। আর এরদোয়ানের দলের প্রার্থী নিহাট জেবেকসি পেয়েছেন মাত্র ৩৮ দশমিক ৪৯ ভাগ। এখানেও এরদোয়ানের প্রার্থী ভরাডুবির দ্বারপ্রান্তে।
স্থানীয় নির্বাচনে তুরস্কের ৫৭ মিলিয়ন ভোটার ভোট দেন এবং তাদের ভোটে ৩০টি প্রধান শহর, ৫১ টি প্রাদেশিক রাজধানী ও ৯২২টি জেলার মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত করা হবে। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ান নির্বাহী ক্ষমতা পাওয়ার পর এটাই প্রথম পৌর নির্বাচন।
এরদোয়ান বলেছেন, এই নির্বাচন তার দলের জন্য টিকে থাকার লড়াই।
এদিকে নির্বাচনী সহিংসতায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন। এদিকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ভোট বয়কট করেছেন বিরোধী দল কুর্দি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।