অন্যের সাহায্য নিয়ে হাঁটছেন খালেদা জিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট

খালেদা জিয়া
ফাইল ছবি

খালেদা জিয়া একা হাঁটতে পারছেন না। অন্যের সাহায্য নিয়ে হাঁটছেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক।

সোমবার চিকিৎসার জন্য কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ-তে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পরিচালক বলেন, দুপুর পৌনে ১টার দিকে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের ৬২১ নম্বর কেবিনে ভর্তি আছেন তিনি। ওনার সঙ্গে আসা কারারক্ষীরা ৬২২ নম্বর কেবিনে অবস্থান করছেন। ওনার পায়ের প্রতিটি জয়েন্টে ব্যথা রয়েছে। তবে বিশেষ করে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেশি রয়েছে। এখন তার ঘুম খুব কম হচ্ছে, যে কারণে জটিলতা বাড়ছে।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জিলান মিয়া। এছাড়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তানজিলা পারভিন, হেমাটোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. চৌধুরী ইকবাল এবং হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হক।

খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে থাকবেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. শামীম আহমেদ ও ডা. মামুন বলেও জানান তিনি।

এই মেডিকেল বোর্ডের প্রতি ওনার আস্থা রয়েছে উল্লেখ করে হাসপাতালের পরিচালক আরো বলেন, বোর্ডের প্রতি ওনার আস্থা রয়েছে। বোর্ডের চিকিৎসকরা আজ ওনাকে দেখেছেন ও ওষুধ দিয়েছেন। অর্থাৎ ওনার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তবে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন করা হচ্ছে না। কারণ কিছুদিন আগে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এখন আর প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন বোর্ডের চিকিৎসকরা নিয়মানুসারে তাকে পর্যবেক্ষণ করবেন। আর আজকে উনি বসে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তুলনামূলকভাবে তিনি আগের তুলনায় এখন ভালো আছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. এ কে মাহবুবুল হক বলেন, এমন কোনো জটিল সমস্যা খালেদা জিয়ার নেই যে তাকে দেশের বাইরে নিতে হবে। অর্থাৎ তার পুরো চিকিৎসা এই হাসপাতালেই সম্ভব। আর উনি নিজে সম্মত হয়ে এ হাসপাতালে এসেছেন। জোর করে আনা হয়নি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে