ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে আট কেন্দ্রে পুনঃভোটের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তিনি।
এর আগে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো বলেন, দোয়াত কলমের এজেন্ট ও সমর্থকরা আমাদের এজেন্টদের বার আউলিয়া মাদ্রাসা, ব্রাহ্মণহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধনাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লাপাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লাউরফতেপুর বালক বিদ্যালয়, শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কোনাউর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়। পার্শ্ববর্তী ভোটারদেরকেও কেন্দ্র আসতে বাধা দেয়।
এসব কেন্দ্রের মধ্যে ব্রাহ্মণহাতা কেন্দ্রে নৌকা মার্কায় শূন্য ভোট পাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্রাক্ষণহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা ভোট কেন্দ্রে মোট ২৩২৭ ভোটারের মধ্যে দোয়াত কলম ১৪৯৬ ভোট, নৌকা শূন্য ভোট। আউলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা পুরুষ কেন্দ্রে মোট ভোট ২৪৬৯ থেকে দোয়াত কলম ১৮৩৪ ভোট এবং নৌকা দুই ভোট পেয়েছে বলে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিব শংকর দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ নসু, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই সময়ে নবীনগরের কোনো কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে শূন্য ও দুই ভোট পেতে পারে না। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
উল্লেখ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান এক হাজার ১,১৮৮ ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটোকে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মনিরুজ্জামান ৪৯ হাজার ৮৭৮ এবং কাজী জহির উদ্দিন ৪৮ হাজার ৬৯০ ভোট পান।