ভুয়া সিম নিবন্ধনের দায় মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকেও নিতে হবে। সিম প্রতি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পরও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে হুমকি, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, নারীদের উত্যক্ত করা থেমে নেই। অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীরা ভুয়া নিবন্ধনের মাধ্যমে সিম কিনে এসব অপরাধ করছে।
এটি প্রতিরোধে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সোমবার সব অপারেটরগুলোকে কড়া চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভুয়া তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করা সিমের দায় দায়িত্ব অপারেটরগুলোকে নিতে হবে। ভুয়া নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রতিটি সংযোগের বিপরীতে অপারেটরকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।
এতে অবৈধ ভিওআইপি সেবার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভুয়া নিবন্ধনের সিমের ব্যবহারও কমে আসবে বলে মনে করছেন কমিশনের সংশ্লিষ্টরা।
বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ থেকে ইস্যু করা চিঠিতে বলা হয়েছে, সিম নিবন্ধন নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট অপারেটরের।
এর আগে কেবল অনিবন্ধিত সিম ধরা পড়লে প্রতিটি ক্ষেত্রে ৫০ ডলার হারে জরিমানা গুনতে হতো অপারেটরদেরকে। স্বল্প পরিমাণের এ জরিমানাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে নিবন্ধিত সিম দিয়ে অপরাধ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিশেষ করে ভিওআইপি বেশি চলেছে। এতে চাইলেও কমিশন অপারেটরগুলোকে অনেক ক্ষেত্রেই বড় অংকের জরিমানা করতে পারেনি।
যে কারণে অবৈধ ভিওআইপি’র বিরুদ্ধে অভিযানে হাজার হাজার সিম ধরা পড়লেও খুব কম ক্ষেত্রে অপারেটরকে দায়ী করা গেছে।
এ বিষয়টি পরিস্কার করতেই নির্দেশনায় কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফলে এখন যে কোনো অপরাধের সঙ্গে পাওয়া সিম যাচাই করে প্রকৃত সিম নিবন্ধনকারী পাওয়া না গেলে অপারেটরদেকে দায়ী করা হবে। তাদের কাছ থেকে প্রতিটি সিমের জন্য জরিমানা আদায় করা যাবে।
বিটিআরসির সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এতে অপারেটররা এখন সিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গ্রাহকের তথ্য যাচাইয়ে আরও সচেতন হবেন।