দলীয় শৃঙ্খলা না মানার বদনাম তার আগে থেকেই আছে। আবারো তাতে নাম উঠল উমর আকমলের। ফলে দলীয় শৃঙ্খলার ‘কারফিউ’ ভেঙে শাস্তি পেতে হচ্ছে পাকিস্তানি মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যানকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডের আগে গভীর রাতে হোটেলে ফেরায় ম্যাচ ফি’র ২০% জরিমানা করা হয়েছে আকমলকে। টিম ম্যানেজার তালাত আলি এই জরিমানা করেন তাকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, অপরাধ স্বীকার করে শান্তির বিষয়টি মেনে নিয়েছেন উমর।
শুক্রবার রাতে টিম ম্যানেজমেন্টের অনুমতি না নিয়ে দুবাইতে অনুষ্ঠিত আকন কনসার্টে গিয়েছিলেন উমর আকমল। তারপর আবার হোটেলে ফিরেছেন গভীর রাতে। যাতে সফর চলাকালীয় দলীয় নিয়ম ভঙ্গ হয়।
জাতীয় দলে ১০ বছরের ক্যারিয়ারে অনেকবারই জরিমানা দিয়েছেন আকমল। যার বেশিরভাগই দিয়েছেন ম্যাচের আগের রাতে বিভিন্ন পার্টিতে যাওয়ার জন্য। ২০১৫ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়েছিলেন রাতে পার্টি করার কারণে। কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতেও একই কাণ্ড ঘটিয়ে দল থেকে বাদ পড়েন।
দুই বছরেরও বেশি সময় পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন আকমল। হেড কোচ মিকি আর্থারের সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের কারণে ২০১৭ থেকেই দলে অনিয়মিত তিনি। দুই বছর দলে না থাকায় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তাকে ডাকায় অনেকেই অবাক হন। এই সিরিজে দলের প্রথমসারির বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেয় পাকিস্তান। অজিদের কাছে ৫-০তে হোয়াইটওয়াশ হয়ে অবশ্য বিশ্রামের খেসারতও দিয়েছে তারা।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো নিশ্চিত করে জানাচ্ছে, সিরিজের আগে নিজেদের মতভেদ দূর করতে একসঙ্গে বসেছিলেন আর্থার-আকমল। কিন্তু কোচের সঙ্গে সম্পর্ক যে স্বাভাবিক হয়েছে তার কোনো ইঙ্গিত এই সিরিজে পাওয়া যায়নি। পুরো সিরিজে ড্রেসিংরুমে এক সঙ্গে দেখা যায়নি তাদের।
তবে ঘটনা যাই হোক, পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে হয়তো বিবেচিত হবেন আকমল। দল সিরিজ হারলেও ব্যাটে মোটামুটি রান পেয়েছেন আকমল। পাঁচ ম্যাচের অন্তত তিনটিতে ৩৫’র বেশি রান পেয়েছেন। সর্বোচ্চ ৪৮। দু’টি ফিফটি হাতছাড়া করেছেন দুই ও তিন রানের জন্য।