চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ জন সহকারী শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। একই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এসব শিক্ষককে বদলি করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) পলিসি ও অপারেশন পরিচালক খান মো. নুরুল আমিনের স্বাক্ষরিত ২৮ মার্চের আদেশটি আজ বুধবার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। তবে এ বদলি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন একাধিক শিক্ষক।
আদেশে বলা হয়, শূন্যপদের বিপরীতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ জন সহকারী শিক্ষককে বদলি করা হলো। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ জারি করা হলো বিধায় বদলিকৃত শিক্ষকরা কোনো প্রকার ভ্রমণভাতা পাবেন না। ডিপিইর মহাপরিচালকের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। নির্দেশনা জারির পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
এর আগে গত ২৭ মার্চ বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০ জন সহকারী শিক্ষককে বদলি করা হয়। এর আগে ২৪ জানুয়ারি একযোগে ৩০ জন সহকারী শিক্ষককে বদলি করার পর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।
ওই আদেশ স্থগিতের প্রায় দুই মাসের মাথায় একযোগে ৪০ জন শিক্ষককে বদলি করে রাজধানীতে আনা হয়। পাশাপাশি একই দিনে রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ১২ জন সহকারী শিক্ষককে বদলি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরীতে ২০০ শূন্যপদের বিপরীতে বদলির জন্য ২০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে। অধিদফতরে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলির জন্য তদবির করতে ভিড় জমান বদলির আবেদনকারী ও তাদের স্বজনরা। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে বদলির নির্দেশনা জারি করছে অধিদফতর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, অধিকাংশ বদলি অর্থের বিনিময়ে কার্যকর করা হয়েছে। এজন্য ৩-৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। বদলির আবেদনের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শূন্যপদের তালিকা দিলেও সেসব প্রার্থীর বদলি না করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিইর মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদিরকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।