ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাইরাল হওয়া ভিডিও : ‘আরেকবার আসছ, ঠ্যাং ভাইঙা দিমু’

ডেস্ক রিপোর্ট

উপজেলা নির্বাচন
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্ব পালনকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সহকারী কমিশনার-ভূমি মো. কামরুজ্জামান বিজয় ৩১ মার্চ নির্বাচন চলাকালে সকাল পৌনে ৯ টার দিকে চড়াও হন আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর (ভিডিওটি ৫দিন পর আজ সংবাদকর্মীদের হাতে আসে)

তার এই এ্যাকশনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় কেন্দ্রের সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে কামরুজ্জামান উচ্চস্বরে যাও এখান থেকে, যাও। সঙ্গে সঙ্গেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠি নিয়ে নৌকার সমর্থক ও সাধারন ভোটারদের ধাওয়া করে।

universel cardiac hospital

কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে কামরুজ্জামান তখন বলতে থাকেন-আরেকবার যদি এদিকে আসছ ঠেং ভাইঙা দিমু কিন্তু। এরপরই ওই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কেন্দ্রের বাইরে ভোটার স্লীপ দেয়ার টেবিলের দিকে কোন প্রার্থী,কোন প্রার্থী বলে এগিয়ে যান। বলেন- এখানে নৌকার কেউ থাকতে পারবে না।

আনারস হলে ঠিক আছে। এসময় ভয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা তাদের সাথে থাকা নৌকার ব্যাজ-লিফলেট লুকিয়ে ফেলে। এ ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুজন দত্ত। তিনি বলেন- এমন করার কারণ জানতে চাইলে কামরুজ্জামান আমাকে বলেন এটা নাকি উপরের নির্দেশ। আমি বেশি কথা বললে আমাকে সে ৩ মাসের সাজা দিয়ে দেবে।

সুজন আরো জানান, ভোটের দিন শুধু কেন্দ্র বা এর আশপাশেই দায়িত্ব পালন করে ক্ষান্ত হননি তিনি। শহরের সর্বত্র যেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পেয়েছেন তাদের ওপর চড়াও হয়েছেন। পৌর সুপার মার্কেট, কুমারশীল মোড়, পৌর কমিউনিটি সেন্টার, মুন্সেফপাড়া এসব এলাকায় গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারধর করেছে তার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি বলেন ওইসব জায়গায় তো কোন কেন্দ্র ছিল না।

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের মোড়াইলের বাসায় দুপুর ১২টা নাগাদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল নিয়ে চড়াও হন সহকারী কমিশনার-ভূমি মো. কামরুজ্জামান। রুবেল জানান-কামরুজ্জামান তার বৃদ্ধ মাকে ডেকে বলেন-‘ এই নেতার মা,তর পুত কই,বাইর কর’। তাকে না পেয়ে বাসার গেটে লাথি মেরে চলে আসেন ম্যাজিষ্ট্রেট।

এর আগে শহরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ কেন্দ্রে রুবেলসহ ছাত্রলীগের ৭/৮জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। কামরুজ্জামান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের নিকট আত্মীয়। তার এই তৎপরতায় ক্ষুব্দ ছাত্রলীগ বিক্ষোভ করে তার অপসারণ দাবি করেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে