বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের ৫ নং ছোটবগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবনের ভিমের পলেস্তারা ধসে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে একই শ্রেণির আরো চার শিক্ষার্থী।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রীর নাম মানসুরা। মানসুরা বাবার নাম নজির হোসেন তালুকদার। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মানসুরা ছোট।
পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাকেরিন জাহান জানান, দুপুরে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বাংলার পাঠদান চলছিল কক্ষটিতে। হঠাৎ ছাদের ভিমের পলেস্তারার একটি বড় অংশ খসে পড়লে মানসুরাসহ পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত অন্য শিক্ষার্থীরা হল সাদিয়া আক্তার, রুমা, ইসমাইল, এবং শাহিন। গুরুতর আহত অবস্থায় মানসুরাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার চেষ্টা করলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
ছোটবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিক উজ জামান তনু জানান, যে ভবনটির ভিমের অংশ ধসে পড়েছে সে ভবনটি সেতু এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০০২ সালে নির্মাণ করে। এরপর একাধিকবার তা সংস্কারও করা হয়েছে। তারপরেও এ ধরণের ঘটনা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও ঠিকাদারদের দায়িত্বে অবহেলাকেই চিহ্নিত করে বলে তিনি জানান।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা শঙ্কামুক্ত। দুর্ঘটনার পর ওই ভবনে পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।