গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম রি-ডেভেলপমেন্ট ফর্মুলা বাস্তবায়ন করে পুরান ঢাকা ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন ।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ইমারত নির্মাণে সরকারের দায়িত্ব ও নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেসে তিনি এ কথা জানান।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের বয়স অনেক হয়েছে। পুরান ঢাকার ভবনগুলো এমনভাবে গড়ে উঠেছে, যে কারণে পুরনো ঢাকাকে রাতারাতি ভেঙে নিরাপদ ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশসম্মত আবাসন এখনো গড়ে তুলতে পারিনি। আপাতত পুরান ঢাকাকে একেবারে ঝুঁকিহীন সব রকম ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, পুরান ঢাকাকে নিয়ে আমরা রি-ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পের আওতায় পাঁচ কাঠা জায়গার ওপর যদি তিনটি ভবন থাকে তাহলে আমরা পরিবেশসম্মত, বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন করে দেব এবং রেশিও (অনুপাত) অনুযায়ী ওই ভবন মালিকদের ফ্ল্যাট দেব।
ঢাকা শহরের অনেক ইমারত আছে, যে ইমারত এত পূর্বে হয়েছে যে, একটির সঙ্গে আরেকটি লেগে আছে, যেমন পুরান ঢাকা। সেগুলোকে রাতারাতি ভেঙে ফেলে নতুন কিছু করা সম্ভব নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন শহরগুলো যেমন- পূর্বাচল, ঝিলমিল, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প; সেখানে ৪৫ শতাংশ জায়গা ফাঁকা রেখে ভবনের অনুমোদন দিচ্ছি; যাতে একটি বাড়ি থেকে আরেকটা বাড়ির মাঝখানে বিশাল জায়গা ফাঁকা থাকে, সেখানে যেন পরিবেশদূষণ না হয়। সেখানে যেন মানুষ মুক্ত বাতাস নিতে পারে। খেলার মাঠ, পার্ক, লেক, বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করে রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের অনেক ইমারত আছে, যে ইমারত এত পূর্বে হয়েছে যে, একটির সঙ্গে আরেকটি লেগে আছে, যেমন পুরান ঢাকা। সেগুলোকে রাতারাতি ভেঙে ফেলে নতুন কিছু করা সম্ভব নয়। আমরা একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। রি-ডেভেলপমেন্ট। অর্থাৎ পুরনো ঢাকায় যদি পাঁচ কাঠা জায়গার ওপর কোথাও কোথাও তিনটা ভবন থাকে, সেগুলো ভেঙে আমরা মানসম্মত, পরিবেশসম্মত, বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ইমারত করে দেব। বিনিময়ে জমির মালিক ওই তিনজনকে যার যা রেশিও সেই অনুযায়ী ফ্ল্যাট দেব; যাতে পুরনো ঢাকার ঘিঞ্জিমার্কা অবস্থা না থাকে, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা না থাকে।
একই ভবন নির্মাণ করতে দুই ধরনের প্ল্যানের বিষয় নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, নতুন ট্র্যাডিশন চালু হয়েছে। ভবন নির্মাণে একটা অ্যাপ্রুভড প্ল্যান, আরেকটা থাকছে ওয়ার্কিং প্ল্যান। এ ধরনের ঘটনা আর টলারেট করতে চাই না। ভবন নির্মাণে দীর্ঘদিনের জঞ্জাল জমা হয়েছে, সেগুলো দূর করতে চাই।