বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ আবারও ফিফা ও এএফসির নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার দায়ে যিনি কারাভোগ করেন।
আজ শনিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এএফসির ২০তম কংগ্রেসে তিনি ফিফা ও এএফসির নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে নির্বাচিত হন।
সদস্য পদে কিরণ তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মালদ্বীপের মরিয়ম মোহামেদকে হারিয়েছেন। এই কমিটি ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপ কোথায় হবে তার সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে গত ১৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা মানহানির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে মতিঝিল থানাপুলিশ।
এর আগে গত ১৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা মানহানির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে মতিঝিল থানাপুলিশ। এর পর দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। অন্যদিকে আসামি কিরণের পক্ষে আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান শুনানি শেষে মূল নথি না থাকায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ১২ মার্চ সিএমএম আদালতে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের স্থায়ী সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স এ মানহানির মামলা দায়ের করেন। এর মাধ্যমে আসামি কিরণের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী এবং ফুটবল ও ক্রিকেট সংগঠকদের ৫০ কোটি টাকার মানহানি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
পরদিন ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী আসামি কিরণের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে আসামি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেছেন, পিএম হিসাবে সব খেলাই তার কাছে সমান। সে সেখানে কেন দুচোখে দেখবে। মেয়েরা ব্যাক টু চ্যাম্পিয়ন। গিফট তো পরের কথা, অভিনন্দন তো দিতে পারে। মিডিয়াতে কি কোনো অভিনন্দন জানাইছে? বাফুফের টাকা কেন প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে দেওয়া হবে? বিসিবির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনেক স্বার্থ আছে। বিসিবি সরকারের অনেক ফ্যাসিলিটিজ নেয়। চুন থেকে পান খসলেই প্লট পেয়ে যায়, গাড়ি পেয়ে যায়। বাফুফে সরকারের কাছ থেকে কোনো ফ্যাসিলিটিজ নেয় না।
কিরণের এ বক্তব্য ৯ মার্চ রাতে ৭১ টিভির খবরে দেখানো হয়। এ ছাড়া ওই বক্তব্য বিভিন্ন দৈনিকেও প্রকাশিত হয়।