মদপান: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ক্যাম্পাস ডেস্ক

মদপানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
মদপানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু। ছবি -সংগৃহিত

মদপানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোহতাসিম রাফিক খান তুর্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তুর্য রায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রফ্রন্টের নেতা তোহরাব হোসেন দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

তোহরাব হোসেন জানান, রাফিক খানের বাড়ি খুলনায়। আর তুর্য রায়ের বাড়ি উত্তরাঞ্চলের জেলা নীলফামারী। তুর্য নগরীর বালিয়াপুকুরের একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন। আর রাফিক খান থাকতেন মোন্নাফের মোড়ের একটি ছাত্রাবাসে। দুজনই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। দুজনের বন্ধুত্ব ছিল খুব ভাল।

তোহরাব হোসেন আরও জানান, গত  শুক্রবার রাতে রাফিক খান, তুর্য রায় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী একসঙ্গে মদপান করেছিলেন। এদের মধ্যে রাবির দুই শিক্ষার্থী মারা গেছেন। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে রাখা আছে।

তিনি আরও জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে রাফিক খান তুর্য তাকে ফোন করে মদপানের কারণে তাদের দুজনের অসুস্থতার কথা জানান। তিনি তাদেরকে তার বাসার রোড এলাকার ছাত্রাবাসে ডাকেন। পরে রাফিক খান ও তুর্য রায় তার ছাত্রাবাসে যান। তোহরাব তাদের হাসপাতালে নিতে চাইলে তারা বলেন, কিছুক্ষণ বিশ্রাম করলে তারা ঠিক হয়ে যাবেন। তোহরাব তাদের ডাবের পানি ও স্যালাইন পান করতে দেন। এরপর তারা সবাই ঘুমিয়ে পড়েন।

ছাত্রফ্রন্ট নেতা আরও জানান, রাত তিনটার দিকে রাফিক খান বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাত চারটার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নেয়া হয়। এর মধ্যে ছাত্রাবাসে থাকা তুর্য রায়েরও অবস্থার অবনতি হয়। তখন তাকেও হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে রবিবার ভোর পাঁচটার দিকে রাফিক খান এবং সকাল সাতটার দিকে তুর্য রায় মারা যান।

রাবি সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসছেন। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা মরদেহ নিয়ে যাবেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে