এককভাবে গত মার্চে ১৫৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের বছরের একই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩০ কোটি ডলার।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এক হাজার ১৮৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১১১ কোটি ডলার বা ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি।
বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে ব্যাংকগুলোর তৎপরতা বৃদ্ধি, ব্যাংকিং চ্যানেলের সঙ্গে অবৈধ চ্যানেলে ডলারের দরে খুব একটা পার্থক্য না থাকা এবং হুন্ডি প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপসহ নানা কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, এককভাবে গত মার্চে ১৫৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের বছরের একই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩০ কোটি ডলার। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১৩২ কোটি ডলার। এ হিসাবে আগের বছরের একই মাস বা আগের মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে।
গত মাসে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১১০ কোটি ডলার। সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৪ কোটি ৭৭ লাখ এবং বিদেশি ব্যাংক এনেছে এক কোটি ২৪ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি রফতানি আয়ও বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি রফতানি আয়ও বাড়ছে। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে রফতানিতে প্রায় ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে ব্যাপক পরিমাণে আমদানি বৃদ্ধি এবং বিদেশি ঋণ পরিশোধের বাড়তি চাপের কারণে বাড়ছে ডলারের দর।
বর্তমানে আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ২৫ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক বছর আগে যা ছিল ৮২ টাকা ৯৬ পয়সা। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গত বৃহস্পতিবার ৩১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩২ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।