দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে

ডেস্ক রিপোর্ট

কারাগার
প্রতীকী ছবি

আদালত জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের দুই কর্মী নিহতের মামলায় দুইজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৪৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

আজ রোববার দুপুরে জয়পুরহাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নিতে গেলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক ইকবাল বাহার।

universel cardiac hospital

জানা যায়, ১৬ মার্চ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর গ্রুপের দুই কর্মী আফতাব ও রতন কুমার নিহত হন।


আজ আদালতে আত্মসর্মপণ করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত

এ ঘটনায় আফতাবের ছেলে বাদী হয়ে দুইজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপের ৪৭ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় পলাতক থাকার পর রোববার তারা আদালতে আত্মসর্মপণ করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১০ মার্চ প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে তিনবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মিনফুজুর রহমান মিলন।

তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। নির্বাচনের আগে থেকেই তার বিরোধীতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হাবিব লজিক ও উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পরও এই বিরোধ প্রকাশ্যে আসে।

নির্বাচনে ওই ইউপি চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে তাদের নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তে অবস্থান নেয় জাসদের উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর পক্ষে। এমনকি নির্বাচনের দিনও তারা দলবল নিয়ে জাসদের মশাল মার্কার প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট আদায়ের চেষ্টা করেন।

এর জের ধরে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে উভয়পক্ষে স্থানীয় মোসলিমগঞ্জ বাজারে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ১১৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে প্রাথমিকভাবে তাদের এ সংঘর্ষ থামানো হয়। ১৬ মার্চ রাত ৮টার দিকে ওই অঞ্চলের হাট পুকুর এলাকায় উদয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলীর সমর্থকদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমানের সমর্থকদের আবারও সংঘর্ষ হয়।

এতে উপজেলা চেয়ারম্যানের দুই কর্মী আফতাব ও রতন মোহন্ত নিহত এবং ১০ জন আহত হন।

এ ঘটনায় চেয়ারম্যান গ্রুপের নিহত কর্মী আফতাব হোসেনের ছেলে গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে এজাহারভুক্ত ৪৭ জনসহ অজ্ঞাত দেড়শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের দুই কর্মী নিহতের মামলায় দুইজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৪৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে