ফেনীর সেই ছাত্রীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ফাইল ছবি


“যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলার জেরে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার পক্ষের কয়েকজন মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে আমার বোনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।”

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরে এক ছাত্রীকে আগুনে ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। তিনি ওই ছাত্রীর যতো ধরনের চিকি‍ৎসার দরকার হয়, সবধরনের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।

রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাতের পর এ কথা জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। 

ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসায় এরইমধ্যে গঠিত হয়েছে ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।

বোর্ডের সদস্যরা হলেন- শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক ও মেডিকেল বোর্ডের প্রধান প্রফেসর ডা. আবুল কালাম, ঢামেক বার্ন ইউনিটের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নওয়াজেস খান, একই বিভাগের অধ্যাপক ডা. লুৎফর কাদের লেনিন, অধ্যাপক ডা. বিধান সরকার, ডা. নজরুল ইসলাম ও ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির।

ডা. সামন্ত লাল বলেন, দুপুর ১টার দিকে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিসে যাই, তখন তিনি ওই ছাত্রীর খোঁজখবর নেন এবং জানান, এ ব্যাপারে তিনি খুবই মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। এসময় তিনি আমার সামনে ওই ছাত্রীর গায়ে যারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

গত ২৭ মার্চ (বুধবার) ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন বলে মামলা দায়ের হয়। এর প্রেক্ষিতে সিরাজউদ্দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওই ছাত্রীর ভাই বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলার জেরে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার পক্ষের কয়েকজন মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে আমার বোনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন তার আর্তনাদ শুনে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা ছাদে ছুটে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর জেলা সদর হাসপাতাল, সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে নিয়ে আসা হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে