কলকাতার ব্রিগেড ঘুরে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশ নায়কের তিন ঘণ্টার এ সফরে খরচ হল প্রায় ৯৫ থেকে ৯৮ কোটি টাকা।
মোদিকে কলকাতায় আনতে ব্যবহার করা হয় ভারতীয় বিমান ও হেলিকপ্টার। সেক্ষেত্রে ওড়ান পথে ভাড়া পড়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকারও বেশি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে।
ব্রিগেড ভরতে ভাড়া করা হয়েছিল চারটি বিশেষ ট্রেন। যার ভাড়া পড়েছে ৫৩ লাখ টাকা। তীব্র রোদ থেকে বাঁচতে সভায় ব্যবহার করা হয়েছিল ৯টি আ্যলুমিনিয়াম হ্যাঙ্গার।
প্রতিটি হ্যাঙ্গারের মোট আয়তন ২১ হাজার ৭০০ বর্গফুট। প্রতি স্কয়ার ফুটে যার ভাড়া ১৫০০ টাকা। সেই হিসেবে ৯টি হ্যাঙ্গারের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। সারা রাজ্য থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আনতে শুধু গাড়ি ভাড়া বাবদ খরচ হয়েছে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা।
ব্রিগেডের মূল মঞ্চসহ বিদ্যুৎ ও সাউন্ড সিস্টেমে খরচ ৪ লাখ ছাড়িয়েছে। আনুমানিক ৫০ হাজার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের জন্য খাবারের আয়োজনে খরচ দাঁড়িয়েছে ১.৫০ কোটি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জেলাপ্রতি আরও ২০ লাখ টাকা খরচের তথ্য আছে।
এদিকে ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সুর ও সঙ্গীতে তৈরি ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ‘থিম সং’টি কোথাও বাজানো যাবে না। খবর পিটিআই’র।
অমিত চক্রবর্তীর লেখা পশ্চিমবঙ্গের জন্য তৈরি এই ‘থিম সং’-এ বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক ‘পদ্মফুল’ পশ্চিমবঙ্গে ফুটবে এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘না’ বলতে বলা হয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ‘এই তৃণমূল আর না’ লিখে টুইট করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। এই একই শব্দ তার গানেও ব্যবহার করেছেন তিনি।
সহকারি প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা সঞ্জয় বসু বলেন, প্রথমত, এই থিম সং-এর আগাম অনুমতিপত্র নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে আমরা কমিশনকে অবহিত করেছি। এছাড়া গানটি বিভিন্ন জায়গায় বাজানো বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিজেপির যে সদস্য এই গানটির অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন তাকে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, মিডিয়া সার্টিফিকেশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি (এমসিএমসি) থেকে আগাম অনুমতি না নেয়ায় ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এছাড়া গানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। পরবর্তী সময় রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী দফতর বিজেপিকে গানটির একটি সংশোধিত সংস্করণ জমা দিতে বলে। সে অনুযায়ী গানটির অনুমোদন পেতে বিজেপি নতুন করে গানটির একটি কপি জমা দিয়েছে।
রিপোর্ট বলছে সন্ত্রাস বেড়েছে ১৭৬ ভাগ : মোদি বলছেন ভারত নিরাপদ, কিন্তু রিপোর্ট বলছে, জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে ১৭৬%। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার সমাবেশে জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী মোডে রয়েছেন। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় তিনি মিথ্যা দাবি করেছেন যে, গত পাঁচ বছরে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ হয়ে গেছে।