রংপুরে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি রংপুর কোতয়ালী থানার জামায়াতের সাবেক আমিরসহ ছয় জামায়াত-শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে রংপুর মহানগরীর নীলকণ্ঠ এলাকার একটি ছাত্রবাস থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) কমিশনার মুহম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন, রংপুর মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি, শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি ও কোতোয়ালি থানা জামায়াতের সাবেক আমির নাশকতার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি অ্যাডভোকেট কাওছার আলী, ছাত্রাবাসের মালিক ও জামায়াত কর্মী সোহেল রানা লিমন, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ মাগুড়া থেকে আসা শিবিরকর্মী মেজবাহুল হক, গঙ্গাচড়া উপজেলার শিবিরকর্মী কলেজ ছাত্র ইয়াহিয়া মাহমুদ, কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ির জামায়াত কর্মী কলেজ ছাত্র তাজুল ইসলাম এবং রংপুর নগরীর নিউ সেনপাড়া এলাকার জামায়াতকর্মী ও দিনাজপুর খানসামা ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক একেএম মাহামুদুর রহমান।পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি চৌকস দল নগরীর নীলকন্ঠ এলাকার মুহিত ছাত্রাবাসে অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযান চলাকালে ছাত্রাবাস থেকে দুই বস্তা জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম পরিচালনার রেজিস্টার, সদস্যদের নামের তালিকা, চাঁদা আদায় রশিদ, ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট, সদস্য সংগ্রহ ফরম, দু’টি মোটরসাইকেল, আটটি বাইসাইকেল ও ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া জামায়াত-শিবির কর্মীরা রংপুরে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে একত্রিত হয়েছিল। তারা রংপুরসহ আশপাশের জেলার জামায়াত-শিবির কর্মীদের নিয়ে এসেছিল।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আরপিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দফতর ও প্রশাসন) মহিদুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকীইবনু মিনান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শামীমা পারভীন, সহকারি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আলতাফ হোসেন, সহকারি পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) জমির উদ্দিন মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম ।