নুসরাতের অবস্থা গতকালের চেয়ে কিছুটা উন্নতির দিকে

ডেস্ক রিপোর্ট

দগ্ধ নুসরাত জাহান
দগ্ধ নুসরাত জাহান। ছবি : সংগৃহিত

নুসরাতের শারীরিক অবস্থা গতকালের তুলনায় কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন নুসরাতের উন্নত চিকিৎসার জন্য গঠিত ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম।

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাতের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী নুসরাতের শরীরে অস্ত্রোপচার চলে। তবে নুসরাতের শারীরিক অবস্থা গতকালের তুলনায় কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন নুসরাতের উন্নত চিকিৎসার জন্য গঠিত ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম।

তিনি জানান, আমরা সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও আমাদের মেডিকেল বোর্ডের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করেছেন। উভয় সিদ্ধান্তক্রমে নুসরাতের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।

universel cardiac hospital

২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাহ -এমন অভিযোগ এনে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ তাৎক্ষণিক অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।

প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আরও বলেন, এখন সে গতকালের থেকে একটু ভালো আছে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছে সে। অস্ত্রোপাচারের তথ্য ও বর্তমান শারীরিক অবস্থার আপডেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফের সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এরপর সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে আবারও আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হবে।

এদিকে মাদরাসাছাত্রী নুসরাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আপাতত সিঙ্গাপুরে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। নুসরাতের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। ৫ ঘণ্টা জার্নি করে নুসরাতের মতো রোগীকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া ঝুঁকির। অবস্থা স্থিতিশীল হলে তখন সিঙ্গাপুর নেয়া যেতে পারে বলে মত দিয়েছে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাহ -এমন অভিযোগ এনে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ তাৎক্ষণিক অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।

ওই ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। অন্যদিকে আরেকটি অংশ শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে।

এদিকে এ ঘটনায় গত রোববার থেকে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মাদরাসার স্বাভাবিক কার্যক্রম ও অনির্দিষ্টকালের জন্য হোস্টেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে