দেশের ২০০ উপজেলায় স্থানভিত্তিক ও নির্ভুল পূর্বাভাস দেওয়াসহ সেবার মান উন্নয়নে স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশন স্থাপন করা হবে।
জানা যায়, ‘আবহাওয়া তথ্যসেবা ও পূর্বাভাস পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদের জমিতে এসব আবহাওয়া স্টেশন স্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগ সমঝোতা স্মারক সই করেছে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া ওই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, অঞ্চলভিত্তিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস সঠিকভাবে পাওয়া গেলে কৃষি, মৎস্যসহ অন্যান্য বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, পূর্বাভাসের ওপর ভিত্তি করে কী কী করা দরকার এবং কী কী করলে লাভজনক হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জলবায়ু ও আবহাওয়া সম্পর্কে স্থানভিত্তিক ও সময়ভিত্তিক সতর্কবাণী পাওয়া যাবে। এর ফলে ফসলসহ গবাদিপশু ও জীবন রক্ষা পাবে।
নির্ভুল পূর্বাভাসের মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমানোই উদ্দেশ্য
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবহাওয়া-সংক্রান্ত সেবার মান উন্নত করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে অধিকতর নির্ভুল পূর্বাভাসের মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমানোই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ৫২০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এরসঙ্গে ৬৫টি স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিমাপক যন্ত্র ও ৩৫টি সিনপটিক এডব্লিউএস স্থাপনের মাধ্যমে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির মানোন্নয়ন করা হবে।
এছাড়া আবহাওয়া সদর দপ্তর ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ছাড়াও ছয়টি বিভাগে জলবায়ু কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারগুলোকে একই নেটওয়ার্কের আওতায় আনাও এ প্রকল্পের অংশ।
