চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি) দেশে আমদানি বেড়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এই সময়ে মোট ৩ হাজার ৬৯০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে সোমবার এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৬৯০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছিল ৩ হাজার ৩৮৪ কোটি ডলারের পণ্য।
এদিকে, চলতি অর্থবছরের নয় মাসে কয়লা, ক্লিংকার, স্ক্রাপ জাহাজ আমদানি এক লাফে ৩৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৮ কোটি ডলারে, যা আগের অর্থবছরের (২০১৭-১৮) একই সময়ে ছিল ২৫৬ কোটি ডলার।
আমদানি ব্যয় পরিশোধ বেড়েছে
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি, নিত্যপণ্যসহ সার্বিকভাবে আমদানি ব্যয় পরিশোধ বেড়েছে।
এ ছাড়াও, মেগা প্রকল্প, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আমদানি ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে।
অধিক পরিমাণে জ্বালানি তেল আমদানি ব্যয় পরিশোধ করার কারণে সার্বিকভাবে আমদানি ব্যয় বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি অর্থবছরেই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসসহ (এলএনজি) পণ্য আমদানি বেড়েছে ৩৫ দশমিক শূন্য ৮০ শতাংশ। এতে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ২৬১ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯৩ কোটি ডলার।
বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়মিত রাখতে আগামীতে জ্বালানি তেল আমদানি আরো বাড়তে পারে বলেও আভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মূলধন যন্ত্রপাতি বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপকরণ আমদানি কমেছে ৭ শতাংশের বেশি। অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এসব যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৩২৫ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময় এসব পণ্য আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ৩৫০ কোটি ডলার।
তবে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৩১৮ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ১ হাজার ১৮০ কোটি ডলার।
অন্যদিকে, খাদ্যপণ্য, চাল ও গম আমদানি কমেছে ৫৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। খাদ্যপণ্য আমদানি ব্যয় ২২১ কোটি ডলার থেকে ৯২ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
তবে ভোগ্যপণ্য আমদানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৬৩ কোটি ডলারে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫৩০ কোটি ডলার।
অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আমদানির ঋণপত্র খোলা ২২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯২৭ কোটি ডলারে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ হাজার ২০ কোটি ডলার।