কিশোরগেঞ্জের শফিকুল ও লাবনী ২০১২ সালে বিয়ে করেন । ওই বছরেই স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেন স্ত্রী লাবনী।
এ মামলায় জেলে নেয়া হয় স্বামী শফিকুলকে। জেল থেকে জামিনে বের হয়ে পারিবারিক মিমাংসায় আবারো সংসার শুরু করেন তারা। তাদের কোল আলোকিত করে আসে এক সন্তান।
অন্যদিকে মামলা চলতে থাকে। সে খবর তারা রাখেননি। পরে শফিকুলকে পলাতক দেখিয়ে ৩ বছরের সাজা দেন আদালত।
আজ বুধবার আড়াই মাসের সন্তানকে নিয়ে উচ্চ আদালতে হাজির হন এই দম্পত্তি। একইসঙ্গে মামলা না চালানোর আরজি জানান আদালতের কাছে। সাজা বাতিল চেয়ে ক্ষমা চান আদালতের কাছে। পরে আদালত তার সাজা বাতিল করে দেন।
এ ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। একইসঙ্গে ৬ মাসের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১১ এর ‘গ’ ধারা সংশোধনের জন্য নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা করতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন আদালত।