তিব্বতের নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা দালাই লামাকে অসুস্থ অবস্থায় ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৮৩ বছর বয়সী এ নেতা বুকের সংক্রমণে ভুগছেন, তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে খবর পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি।
তার ব্যক্তিগত সহযোগী তেনজিন তাকলহা জানিয়েছেন, অসুস্থবোধ করার কথা জানানোর পর তাকে হিমাচলের পার্বত্য শহর ম্যাকলয়েডগঞ্জ থেকে হেলিকপ্টারে করে দিল্লিতে আনা হয়।
৬০ বছর আগে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর তিব্বতের এই আধ্যাত্মিক নেতা ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন।
শান্তিতে নোবেলে পুরস্কার জয়ী দালাই লামা একজন জনপ্রিয় বক্তা। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাইরের যোগাযোগ কমিয়ে ম্যাকলয়েডগঞ্জের বাসায়ই অধিকাংশ সময় থাকছিলেন তিনি।
তেনজিন তাকলহা বার্তা সংস্থা বলেছেন, তার বুকের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সেটিরই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
চীন ১৯৫০ সালে তিব্বতের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। দেশটি দালাই লামাকে বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে বিবেচনা করে।
দালাই লামা মারা যাওয়ার পর তার উত্তরাধিকারী কে হবেন তা পরিষ্কার নয় এবং এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
চীন বলেছে, একজন উত্তরাধিকারী মনোনয়ন করার অধিকার আছে তাদের নেতাদের। কিন্তু গত মাসে দালাই লামা ফের বলেছেন, চীনের ঘোষিত কোনো নেতাকে তিব্বতিরা মেনে নিবে না।
তিব্বতি বৌদ্ধদের বিশ্বাস, তাদের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ লামার আত্মা একটি শিশুর দেহধারণ করে পুনরায় আবির্ভূত হয়।