বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে ১০ এপ্রিলের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আদালত নির্দেশ দিলেও ভুক্তভোগীর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করেনি গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে রাসেল সরকার জানিয়েছেন, গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে এখনও কোনো যোগাযোগ করেনি।
এদিকে গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ দিতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের বিষয়ে আদেশের জন্য আজ বুধবার হাইকোর্টে দিন ধার্য রয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে চেম্বার আদালতে একটি আবেদন নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান রিট আবেদনকারী সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম।
তিনি বলেন, মালিক সমিতির পক্ষে সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান আবেদনটি করেন। এতে হাইকোর্টের ১২ মার্চ দেয়া আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়। শুনেছি, আবেদনের পক্ষে লড়তে আইনজীবী আবদুল মতিন খসরুকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তিনি মামলা পরিচালনায় অসম্মতি জানালে আবেদনটি বুধবার শুনানির জন্য রাখা হয়।
এ বিষয়ে আবদুল মতিন খসরু বলেন, মালিক সমিতির পক্ষে মামলাটি লড়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে ঘটনা জানার পর আমি মানসিকভাবে ভিকটিমের পক্ষে। তাই মামলা পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেছি।
রাসেলের পা হারানোর ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনজীবী উম্মে কুলসুমের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট এক আদেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
সেই সঙ্গে প্রয়োজন হলে তার পায়ে অস্ত্রোপচার এবং কাটা পড়া বাঁ পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচ দিতে ওই পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। এর অগ্রগতি হলফনামা আকারে ৩১ মার্চের মধ্যে আদালতে দাখিল করতেও বলা হয়।
তবে হাইকোর্টের ১২ মার্চের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিনলাইন পরিবহন আপিল বিভাগ আবেদন করে, যা ৩১ মার্চ খারিজ হয়। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে। এর পর সেদিন হাইকোর্ট ইতিপূর্বে দেয়া আদেশ ৩ এপ্রিলের মধ্যে গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বাস্তবায়ন করতে বলে আদেশের জন্য ৪ এপ্রিল দিন রাখেন।
ধার্য তারিখে গ্রিনলাইন পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আদালতে হাজির হয়ে জানান, গ্রিনলাইন পরিবহনের মালিক চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন, ৯ এপ্রিল ফিরবেন। এর পর হাইকোর্ট ১০ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।