নাটোরের লালপুরের ছাত্রলীগকর্মী মোয়াজ্জেম হোসেন খান্নাস হত্যা মামলায় ৪ জনকে ফাঁসি ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে মামলার অপর ১৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান সিদ্দিক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- লালপুর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে শামীম ও সুজন, একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল মতিন ও আব্দুল খালেকের ছেলে শুকুর বাবু। এছাড়া ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে সান্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের শামীম ব্যতিত সকলেই পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে আলমের নেতৃত্বে বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শতাধিক লোক নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী মোয়াজ্জেম হোসেন খান্নাসের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় গুলি চালিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। ঘটনার সময় মোয়াজ্জেম হোসেন খান্নাস তার বাবা মা ও তার বোন দুলা ভাইয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। তারা প্রতিবেশি ইয়াছিনের বাড়ির সামনে আসলে হামলাকারীরা খান্নাসকে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক খান্নাসকে মৃত ঘোষণা করেন।