ফেনীর দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নুসরাতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী নুসরাতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নুসরাতের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নুসরাতের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। যদি প্রয়োজন হয়, তবে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতেও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন নুসরাতের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত শনিবার নুসরাতকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন আমি তার সঙ্গে দেখা করতে যাই। তাকে জিজ্ঞেস করি কেমন আছ? তখন, নুসরাত বলে, ‘স্যার আমাকে বাঁচান, আমি বাঁচতে চাই।’
জানা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নুসরাত লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তার শরীরের ৭৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েটির ফুসফুসকে সক্রিয় করতে মঙ্গলবার অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু কোন কিছুই কাজে আসেনি।
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরি দেয় দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।