চীনের সামরিক কর্মকাণ্ড আমেরিকার যতটা উদ্বেগ বাড়িয়েছে, পাকিস্তান ততটাই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। দুই উদ্বেগ কমাতে ভারতের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ককে এবার ঘনিষ্ঠতার মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসে।
খবরে প্রকাশ, ভারতকে ন্যাটো (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন) জোটে আনতে ফের একটি বিল এনেছেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ছয় প্রভাবশালী সদস্য। পর্যাপ্ত ভোটের অভাবে আগের বিলটি পাশ হয়নি।
বিলটি কংগ্রেসের দুই কক্ষে পাশ হওয়ার পর আইনে পরিণত হলে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতকে ন্যাটো জোটের শরিক বলে ঘোষণা করতে পারবে।
এতে বাড়তি নিরাপত্তার আশ্বাসের বিনিময়ে যেমন আমেরিকার সামনে পছন্দমতো অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রটি আরো প্রসারিত হবে, তেমনি জোটের শরিক দেশগুলো অন্য কোনো দেশে তাদের অস্ত্র বিক্রি করতে চাইলে তার ওপরও নজর রাখা সম্ভব হবে ওয়াশিংটনের।
এর মধ্য দিয়ে চীন ও পাকিস্তানকে বার্তা
ভারতকে ন্যাটো জোটে আনলে আমেরিকার আরো সুবিধা হলো এর মধ্য দিয়ে চীন ও পাকিস্তানকেও বার্তা দেওয়া যাবে।
চলতি সপ্তাহেই ‘এইচআর-২১২৩’ নামের বিলটি কংগ্রেসে এনেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য জো উইলসন।
এর আগেও একবার এই বিল আনা হয়েছিল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের অভাবে সেটি পাশ হয়নি। সেই বিলটি এনেছিলেন অ্যামি বেরা।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনদের মধ্যে অ্যামিই সবচেয়ে বেশি দিন ধরে সদস্য রয়েছেন কংগ্রেসের। ওই সময় অ্যামির সঙ্গী হয়েছিলেন হাউসের ইন্ডিয়া ককাস কমিটির চার কো-চেয়ার সদস্য জর্জ হোল্ডিং, ব্র্যাড শেরম্যান, তুলসি গাবার্ড ও টেড ইয়ো।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা