যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস করে রাশিয়ার মস্কোতে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা দেশটির গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড স্নোডেন বলেছেন, উইকিলিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য একটি অন্ধকার মুহূর্ত।
এক টুইটবার্তায় স্নোডেন লিখেছেন, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইকুয়েডর রাষ্ট্রদূত তার দূতাবাসে ইউকে সিক্রেট পুলিশ দলকে ডেকে এনে একজন ….প্রকাশকারী… বা সেটা হোক বা না হোক… সাংবাদিকতায় পুরস্কারজয়ী একজনকে ধরিয়ে দেয়ার ছবিগুলো শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের পাতায় স্থান নিতে যাচ্ছে। অ্যাসাঞ্জের সমালোচনাকারীরা আনন্দিত হতে পারেন, কিন্তু এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য একটি অন্ধকার মুহূর্ত।
লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ার প্রায় ৭ বছর পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে যত দ্রুত সম্ভব বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে।
এর আগে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো জানান, বারবার আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করায় ইকুয়েডর জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে নিয়েছে তারা।
তবে উইকিলিকসের পক্ষ থেকে করা এক টুইটে দাবি করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের’ কথা বলে ইকুয়েডর অবৈধভাবে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করেছে।
আর মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটিয়ে এডওয়ার্ড স্নোডেন ২০১৩ সাল ‘মোস্ট ওয়ান্টেড আমেরিকান’ ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। গত চার বছর ধরে তিনি মস্কোতে স্বেচ্ছানির্বাসনে আছেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মামলা করেছিল তখন। দেশটির রাজনীতিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের রাঘববোয়ালেরা তাকে আখ্যায়িত করেছিল বিশ্বাসঘাতক, রাষ্ট্রদ্রোহী, রাশিয়ান চর, এমনকি চোর হিসেবেও। কিন্তু বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ স্নোডেনকে তার কাজের জন্য নায়ক ভাবে। স্নোডেন নিজেও নিজেকে মানবাধিকার কর্মী হিসেবে দাবি করেন।