দেশের রপ্তানি খাত এখনো পোশাকশিল্প নির্ভর

বিশেষ প্রতিনিধি

রপ্তানি
ফাইল ছবি

দেশের রপ্তানি খাত এখনো মূলত পোশাকনির্ভর। এ খাতে ভালো করলে সার্বিকভাবে রপ্তানিতেও ভালো হয়। আর যখন এ খাতের রপ্তানি কমে যায় তখন মোট রপ্তানিতেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এমনটাই হয়ে আসছে।

গত মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। ফলে প্রবৃদ্ধিও ভালো হয়েছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে সার্বিক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর পোশাক খাতে (ওভেন ও নিট মিলে) রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।


৯ মাসে আয় ৩ হাজার ৯০ কোটি ৩০ লাখ ডলার

রপ্তানি উন্নয়নব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৮৮২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে তিন হাজার ৯০ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাত দশমিক ২০ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল দুই হাজার ৭৪৫ কোটি ১৭ লাখ ডলার।


মার্চে ৩৩৪ কোটি দুই লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি

একক মাস হিসেবে মার্চে মোট ৩৩৪ কোটি দুই লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই মাসে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩০৫ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। সে হিসেবে আগের অর্থবছরের মার্চ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের মার্চে ৯ দশমিক ৩৫ বেশি রপ্তানি হয়েছে।

ইপিবি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে নিট পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে এক হাজার ২৮০ কোটি আট লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সাত দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ১৯৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।

এ সময়ে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক সাত শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আয় হয়েছিল এক হাজার ১৩২ কোটি ১২ লাখ ডলার। আর গত জুলাই থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি করে এক হাজার ৩১৫ কোটি পাঁচ লাখ ডলার আয় হয়েছে।


নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি

যা আগের অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। আর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সাত দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি।

এ সময়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ২২২ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরে একই সময়ে এ খাতে আয় হয়েছিল এক হাজার ১৫১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।

অন্যদিকে, স্পেশালাইজড টেক্সটাইল খাতের প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা ইতিবাচক হলেও হোম টেক্সটাইল খাতে লক্ষ্যমাত্রা ও প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়ে গেছে। স্পেশালাইজড টেক্সটাইল খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ১১ কোটি ২৫ লাখ ডলার।

যা গত বছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। হোম টেক্সটাইল খাতের রপ্তানি গত বছরের চেয়ে তিন দশমিক ৩৬ শতাংশ কম হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এ খাতে আয় হয়েছে ৬৪ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।

এছাড়া প্রাইমারি কমোডিটিজ, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, কেমিক্যাল পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সিরামিক পণ্য, হ্যান্ডিক্যাফটসহ বেশিরভাগ পণ্যে ভালো রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, রাবার, সিমেন্টসহ কয়েকটি পণ্যে প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়ে গিয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে