বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, ‘দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। তিনি দারুণভাবে অসুস্থ। তাকে যদি মুক্ত আলো-বাতাসে আনা না যায়, যদি তার সঠিক চিকিৎসা করা না যায়, তবে তাকে আমরা হারাবো। তাই তার আন্দোলনের সঙ্গী হাবিব উন নবী খান সোহেলের মতো যারা বন্দি আছেন, তাদের মুক্ত করার জন্য যে লড়াই প্রয়োজন, আসুন সেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেই।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে জিয়া আদর্শ একাডেমি আয়োজিত ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ সব কারাবন্দি নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’তে প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব বলেন।
বিশ্বের কোনো স্বৈরাচারি সরকার জনগণের আন্দোলনের মধ্যে টিকে থাকতে পারেনি উল্লেখ করে নজরুল বলেন, ‘ফিলিপাইন্সের মার্কোসের দমননীতির বিরুদ্ধে জনগণ যখন রাজপথে ট্যাংকের সামনে শুয়ে পড়েছিল, তখনই মার্কোসের পতন হয়েছিল। ওই পরিমাণ সাহস কী আপনাদের আছে? মুখে আছে, যেদিন কাজে দেখাতে পারবেন, সেদিন এই সরকারের পতন হবে।’
দলীয় নেতাকর্মীরা ঘরের মধ্যে যে জ্বালাময়ী বক্তব্য দেন, তা বাইরে দেখানোর আহ্বান জানিয়ে এই নেতা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলে দিতে চাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্যে যেকোনও আন্দোলনের প্রতি আমরাও আগ্রহ আছে। আপনারা মুখে যেমন বলেন, কাজে দয়া করে তেমন দেখান। দেখবেন, অনেক বড় আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যবস্থা হবে। সেটা না করা পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার হবে না।’
বিএনপির যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আজ নুসরাতের যে অবস্থা হয়েছে, এটা তো বাংলাদেশের একটি খণ্ডচিত্র মাত্র। আজ গোটা বাংলাদেশই তো নুসরাতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্যারোলটা প্রসব করেছে আওয়ামী লীগ এবং এটা লালন পালন করে শিশুর মতো বড় করেছে তারাই। এক মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার থেকে সুপারিশ করলে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হবে; আরেক মন্ত্রী বলেন, প্যারোলের কোনও প্রশ্নই আসে না। আইনগতভাবে মুক্তি নিতে হবে। নিজেরাই পক্ষ-বিপক্ষ হয়ে একটি নাটক তৈরি করেছে। এই নাটকের মধ্য দিয়ে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেই নাটক আমরা যেন গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা না করি।’
প্রতিবাদ সভায় জিয়া আদর্শ একাডেমির সভাপতি আজম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।