পাটগ্রামে স্বামীর দেয়া আগুনে স্ত্রীর মৃত্যু

সারাদেশ ডেস্ক

আগুন
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ হওয়ার ৫ দিন পর গৃহবধূ রোজিনা বেগমের (২০) মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। গত সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে রোজিনা বেগমের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী আব্দুল্লাহ।

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডে সারাদেশ যখন উত্তাল, তখনই পাটগ্রামের এ ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

গত ৬ এপ্রিল নুসরাত পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে আগুন দেন। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ওইদিন রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।

অপরদিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত রোজিনা বেগম নীলফামারী জেলার জলঢাকা এলাকার ওসমান আলীর মেয়ে। পুলিশ এ ঘটনায় ওইদিনই আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করে। তিনি উপজেলার নিউ পূর্বপাড়া এলাকার মোমিন মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে রোজিনা তার স্বামীকে জানায় যে, বাড়িতে কয়েকজন নিকটাত্মীয় আসবেন। এ কথা শুনে মোবাইলে রোজিনাকে গালাগালি করেন স্বামী। ঘণ্টাখানেক পর বাড়িতে এসে রোজিনার চুলের মুঠি ধরে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘরের ভেতর থেকে কেরোসিনের বোতল এনে ঢেলে দেন রোজিনার শরীরে। এরপর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

আগুনে রোজিনার গলাসহ শরীরের বেশকিছু অংশ পুড়ে যায়। তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে আব্দুল্লাহ পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন।

রোজিনাকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী এ প্রসঙ্গে বলেন, ওই গৃহবধূর স্বামীকে ওইদিনই আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর মরদেহ রাতে গ্রামের বাড়ি পাটগ্রামে নিয়ে আসা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে