ভোলার চরফ্যাশনে চরমানিকা ইউনিয়নের আইচা বাজারে এক কর্মকারের ঘরে অস্ত্র রেখে দুই কর্মকারকে ফাঁসানোর ঘটনার চার দিন পর ফেঁসে গেছেন সোর্স নিজেই।
ইউছুফ চরমানিকা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল লতিফের ছেলে। এ সময় পুলিশ সোর্স ইউসুফের সহযোগী আলী হোসেন ফরাজীর স্ত্রী আছিয়াকেও সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
শনিবার দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোর্স ইউছুফকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মাসুম তালুকদার এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আতিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাতে সোর্স ইউসুফের দেয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টহল পুলিশ অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ আইচা বাজারের সুজন কর্মকার ও শংকর কামলার বাসা থেকে ৩টি বগী দা ৫টি ছোঁড়া ও দুটি তলোয়ার উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সুজন কর্মকার ও শংকর কামলাকে আটক করে পুলিশ। অবৈধ অস্ত্র তৈরী ও বিক্রির অভিযোগে অস্ত্র মামলায় শংকর কর্মকার ও সুজন কামলাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তারা এখন জেলে আছেন।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম জানান, সুজন কর্মকার এবং শংকর কামলার বাড়ি লালমোহন উপজেলার গজারিয়া এলাকায়। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এখানে কর্মকার হিসেবে কাজ করছেন তারা।
তারা সহজ সরল খেটে খাওয়া মানুষ। পুলিশকে সংবাদ দেয়া সোর্স ইউছুফ কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদেরকে ফাঁসিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সোর্স ইউসুফ ইতিপূর্বে একাধিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়েছিল এবং ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে পুলিশের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করেছে।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মাসুম তালুকদার জানান, সোর্স ইউসুফের কাছে অস্ত্র পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তবে জেলহাজতে থাকা দুই ব্যক্তি নির্দোষ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।