পাঞ্জাবকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

ক্রীড়া ডেস্ক

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কোহলি--ডি ভিলিয়ার্সরা। ছবি: এএফপি

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যান কোহলিরা।

কতটা চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি, তা তাঁর চোখ–মুখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছিল। মুখ কালো করে একের পর এক ম্যাচে মাঠ ছাড়তে হচ্ছিল তাঁকে। নিজে ব্যাট হাতে রুখে দাঁড়ানোর প্রাণপণ চেষ্টা করলেও কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর টানা ছয় হারে কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়েই উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। অবশেষে এবারের আইপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল কোহলির দল। ৪ বল বাকি থাকতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে তাদের ঘরের মাঠে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে বেঙ্গালুরু।

চণ্ডীগড়ের পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে গেইলের ঝোড়ো ৯৯ রানের কল্যাণে বেঙ্গালুরুর সামনে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দেয় পাঞ্জাব। টি-টোয়েন্টির যুগে এই রান এটি বড় কিছু না হলেও টানা হারে বিধ্বস্ত কোহলিদের জন্য হিসাবটা অবশ্য ভিন্ন। শেষ পর্যন্ত কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্সের অর্ধশতক বেঙ্গালুরুকে দেখায় জয়ের রাস্তা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাঁরা তুলেছেন ৮৫ রান। ৫৩ বলে ৬৭ রান করে কোহলি ফিরে গেলেও ৩৮ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন ভিলিয়ার্স। ১৬ বলে ২৮ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন মার্কোস স্টোইনিস।

universel cardiac hospital

শুরু থেকেই পাঞ্জাবের বোলারদের শাসন করেছেন বেঙ্গালুরু ব্যাটসম্যানরা। ওভার প্রতি গড়ে ১২ রান করে তুলে প্রথম ৩ ওভারেই ৩৬ রান। দলীয় ৪৩ রানে পার্থিব প্যাটেল ফিরে গেলেও রানের চাকা থামেনি। ভিলিয়ার্সকে সঙ্গে করে ৮৫ রানের জুটি গড়েছেন কোহলি। দলীয় ১২৮ রানে অধিনায়ক কোহলি ফিরে গেলে একটু ধাক্কা খেয়েছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু বাকি পথটা স্টোইনিসকে নিয়ে ভালোই পাড়ি দিয়েছেন ভিলিয়ার্স। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এসেছে ২৩ বলে ৪৬ রান। শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৮। অ্যান্ড্রু টাইয়ের ১৮তম ওভার থেকেই এসেছে ১৮ ও মোহাম্মদ শামির ১৯তম ওভারে ১৪ রান। ফলে ম্যাচের শেষটা কার্যত সেখানেই দেখে ফেলেন প্রীতি জিনতা।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এক রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন ক্রিস গেইল। ওপেনিংয়ে তিনি ৬৬ রানের জুটি গড়েন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে। ১৫ বল খেলে ১৮ রান করে ফিরে যান আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা রাহুল। অন্য প্রান্তে বাকি ব্যাটসম্যানরাও ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ৯ বলে ১৫ রান করেন আগরওয়াল। শেষ দিকে ১৬ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মানদীপ সিং। ৬৪ বলে গেইলের অপরাজিত ৯৯ রানের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৫টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে