পহেলা বৈশাখে সিলেট রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রামগামী আন্ত:নগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢিল মারলে সৈকত (১০) নামক ৫ম শেণির এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে তার চোখ।
রোববার মাইজগাঁও রেলস্টেশনের বিয়ালীবাজার নামক স্থানে চলন্ত ট্রেনে ঢিল মারলে এ ঘটনা ঘটে। আহত সৈকতকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কুলাউড়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ টিটিডিসি এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক রুপজ চক্রবর্তীর ছেলে সৈকত স্থানীয় আনন্দ বিদ্যাপীঠের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
জানা গেছে, সিলেটে আত্মীয় বাড়ি থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে ট্রেনে করে কুলাউড়ায় ফিরছিল সৈকত। ট্রেনের ঝ নম্বর বগিতে তাদের আসন ছিল। মাইজগাঁও রেলস্টেশন ছাড়ার কিছু সময় পর বাইরে থেকে একটি ঢিল এসে সৈকতের কপালে লাগে। এতে তার কপাল কেটে যায়।
পরে স্বজনেরা ক্ষতস্থানে কাপড়ের টুকরা বেঁধে রাখেন। কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনে পৌঁছার পর দ্রুত তাকে উপজেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। সৈকতের ক্ষতস্থানে তিনটি সেলাই লেগেছে বলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার নুরুল হক জানান- ‘চলন্ত ট্রেনে পাথরের আঘাতে সৈকতের মাথায় জখম হয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। চিকিৎসার পর তাকে বাসায় নিয়ে গেছেন স্বজনরা।
সৈকতের বাবা রুপজ চক্রবর্তী জানান- ‘অল্পের জন্য আমার ছেলের চোখ রক্ষা পেয়েছে।’
কুলাউড় রেলওয়ে থানার ওসি মো. আবদুল মালেক জানান, ‘এ ঘটনায় সিলেট রেলওয়ে থানায় অভিযোগে দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিথা ট্রেনে দুর্বৃত্তের ঢিলে প্রীতি দাশ (২৪) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত হয়েছিলেন। নিহত প্রীতি দাশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিভাগে লেখাপড়া করছিলেন।