ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যায় তার স্মৃতিতে একটি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনটির নাম দেয়া হয়েছে- নুসরাত জাহান রাফি স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
রোববার বিকালে পৌরসভার উত্তর চর চান্দিয়া এলাকায় নুসরাতের বাড়িতে স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে সংগঠনটির সূচনা উপলক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সমাজসেবক কামরুল হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা মিয়া, স্থানীয় সমাজসেবক মাহতাবুর রশিদ, সৈয়দ মোস্তাক আহমেদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মো. আলী ফরহাদ প্রমুখ।
সভায় সর্বসম্মতিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ চৌধুরীকে সভাপতি, স্থানীয় সমাজসেবক কামরুল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে প্রাথমিকভাবে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা নুসরাত জাহান রাফির বাবা এ কে এম মুসা মিয়া, মা শিরিনা আক্তার, সহসম্পাদক মাহতাবুর রশিদ, নুরুল হুদা, মো. আলী ফরহাদ, কোষাধ্যক্ষ নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান ও রাশেদুল হাসান।
সভায় জানানো হয়, নুসরাত জাহান স্মৃতি ফাউন্ডেশন এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারসহ সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করবে। এ ছাড়া কমিটির সদস্যরা বসে ফাউন্ডেশনের পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আলোচনা সভায় এ কে এম মুসা মিয়া তার বক্তব্যে মেয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সহযোগিতা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, দেশবাসী এখন আমাকে যেভাবে সহযোগিতা করছে, সেভাবে নুসরাতের খুনিদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবার সহযোগিতা চাই। নুসরাতের খুনিদের এমন শাস্তি দেওয়া হোক, যা সারা পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যাতে করে আর কোনো মা-বাবার কোল খালি করতে কেউ সাহস না পায়।