প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিবাদ করে নুসরাত এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আজ সোমবার নুসরাতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় নুসরাতের বাবা একেএম মুসা এবং মা শিরীনা আক্তার ও তাদের দুই ছেলে উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাকারীদের কেউ-ই আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।
সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য দেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিবাদ করে নুসরাত এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী নুসরাতের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
প্রেস সচিব আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী তাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় নুসরাতের বাবা-মা এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
নুসরাত গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। গত ৬ এপ্রিল দুষ্কৃতকারীরা তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিলে সে মারাত্মক দগ্ধ হয়েছিল।
নুসরাত গত ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করে। এরপর এইচএসসি সমমানের আলিম পরীক্ষা দিতে নুসরাত মাদ্রাসায় গেলে গত ৬ এপ্রিল তার গায়ে আগুন দিয়ে চরম প্রতিশোধ নেয়া হয়। মুখোশপরা তরুণদের একটি গ্রুপ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছাদে ডেকে নিয়ে যায় এবং তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনার পর নুসরাতের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি নির্দেশ দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নুসরাতের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।