বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হককে শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তার মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটির আদেশ দেয়া হয়েছে।
আগামী ২৪ মে উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ বুধবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গণমাধ্যমকে বলেন, হ্যাঁ খবরটি সত্য। আমি এ বিষয়ে অবগত আছি।
তিনি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক ছুটির দরখাস্ত করেছিলেন। সে মোতাবেক তার ছুটি মঞ্জুর করা হয়। তিনি যত দিন ছুটি চেয়েছিলেন তত দিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে স্বেচ্ছাছুটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্য এস এম ইমামুল হক। ১০ এপ্রিল তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ছুটি চেয়ে এই আবেদন জমা দেন।
ছুটির দরখাস্তে উপাচার্য ১১ এপ্রিল থেকে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনের ছুটিতে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. এ কে এম মাহবুব হাসান তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত উপাচার্যের রুটিন কাজগুলো পরিচালনা করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ দুপুরে এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বললে ২৭ মার্চ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা সে নির্দেশ উপেক্ষা করে হলে অবস্থান করেন। পরে উপাচার্য এস এম ইমামুল হক তার মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।