ক্রাইস্ট চার্চের হামলা: নিহতদের পরিবার পেল সাড়ে আট লাখ টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট

ক্রাইস্ট চার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা
ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলার পর রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তমাখা ব্যান্ডেজ। ছবি: রয়টার্স

ক্রাইস্ট চার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশিদের প্রতেক্যের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ আট লাখ ৫৪ হাজার টাকা করে (১৫ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার) আর্থিক অনুদান দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড সরকার।

এছাড়া লাশ পরিবহন বাবদ আরও ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যদের সে দেশে যাওয়া-আসাসহ অন্যান্য নিউ জিল্যান্ড সরকার খরচ বহন করেছে।

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

universel cardiac hospital

এর আগে কমিটির পূর্ববর্তী বৈঠকে নিউ জিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ও আহতদের জন্য ওই দেশের সরকার কী সহযোগিতা করেছে, তা জানতে চাওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি মুহম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, “নিউ জিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলায় যেসব বাংলাদেশি নিহত বা আহত হয়েছেন তারা সকলেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। তাদের কাছে আর্থিক অনুদান মুখ্য নয়। ঘটনার পর পর নিউ জিল্যান্ড সরকার আমাদের যথেষ্ট সম্মানিত করে।

“লাশ দেশে পাঠানোসহ পরিবারের সদস্যদের দ্রুততার সাথে ভিসা ইস্যু করেছে। তারা কম না বেশি টাকা অনুদান দিয়েছে এটাকে বড় করে দেখার সুযোগ নেই। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এই ভাবে সম্মানিত করে।”

গত ২৭ মার্চের বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, ওই বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নিউ জিল্যান্ড যে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে তা ‘খুবই নগণ্য’। অবশ্য ওই সময় পর্যন্ত এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার থেকে নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি বলে মন্ত্রী জানান।

বৈঠকে সংসদীয় কমিটি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদেশ সফরের পর মন্ত্রিসভায় যে ধরনের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় সংসদীয় কমিটিতেও সেই ধরনের প্রতিবেদন উপস্থাপনের সুপারিশ করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফারুক খান বলেন, “এই সিদ্ধান্ত আমাদের আগেই ছিল। আমরা আবারো বলেছি যেন প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদেশ সফরের প্রতিবেদনের কপি কমিটিতে দেওয়া হয়।”

বৈঠকে সরকারিভাবে বাংলাদেশি কোনো প্রতিনিধি ও খেলোয়াড়রা বিদেশ সফরে গেলে বিষয়গুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি পাঠাতে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া সফররতদের বিষয়ে মিশনগুলো যাতে সদা তৎপর থাকে সেজন্য মন্ত্রণালয় থেকে মিশনে চিঠি দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।

ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক ও কাজী নাবিল আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে