বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস আজ

জীবন যাপন ডেস্ক

হিমোফিলিয়া
ছবি -সংগৃহিত

আজ বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস। ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

মানব ইতিহাসের প্রাচীনতম দুরারোগ্য মরণব্যাধিগুলোর মধ্যে হিমোফিলিয়া একটি বংশাণুক্রমিক রক্তক্ষরণজনিত রোগ।

universel cardiac hospital

রক্তে জমাট বাঁধার উপাদান বা ফ্যাক্টর জন্মগতভাবে কম থাকার কারণে হিমোফিলিয়া রোগটি হয়ে থাকে। এ রোগটি সাধারণত পুরুষের হয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে ফ্যাক্টর-৮-এর ঘাটতির কারণে হিমোফিলিয়া-এ এবং ফ্যাক্টর-৯ এর অভাবে হিমোফেলিয়া-বি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

হিমোফিলিয়া রোগের লক্ষণ…

১)হিমোফেলিয়া হলে রোগীর খুব বেশি রক্তপাত হওয়া।

২) মহিলাদের মাসিকের সময় অনেক দিন ধরে রক্ত ঝরা।

৩) সময়ে সময়ে নাক বা দাঁত দিয়ে রক্ত বের হওয়া।

৪) দাঁতের অপারেশনের পর প্রচুর রক্তপাত হওয়া

৫) প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

৬) সহজে কালশিটে দাগের প্রবণতা। এবং

সাধারণত দুই ধরনের হিমোফিলিয়া রোগী দেখা যায়, হিমোফেলিয়া-এ এবং হিমোফেলিয়া-বি।

চিকিৎসকদের মতে, ৮৫ শতাংশ রোগীর হিমোফেলিয়া-এ এবং ১৫ শতাংশ রোগীর হিমোফেলিয়া-বি হয়ে থাকে।

হিমোফেলিয়ার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আমেরিকায় প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে গড়ে একজন হিমোফেলিয়া-এ আক্রান্ত।

বাংলাদেশে এ রোগের কোনো গবেষণা ও সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও চিকিৎসকদের ধারণা, দেশে প্রায় ১০ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত।

নোভার্টিজ ফাউন্ডেশনের কনসালট্যান্ট ড. জেফরি কোহেন এর আর্টিকেলে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী প্রায় চার লাখ মানুষ হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত।

হিমোফেলিয়া রোগ এখনবধি অনিরাময়যোগ্য একটি রোগ। তবে আক্রান্তের প্রথম দায়িত্বই হচ্ছে সচেতনতার সাথে চলাফেরা করা, যেন কোনোরূপ আঘাতে রক্তক্ষরণ না ঘটে। এ রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধে প্রধানত ব্যবস্থা হচ্ছে রক্তসঞ্চালন।

রক্ত থেকে তৈরি ‘ফ্রেস ফ্রোজেন প্লাজমা’ নামক উপাদানই কেবল এ রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সক্ষম।

কিন্তু এ ফ্রেস ফ্রোজেন প্লাজমা তৈরিতে অনেক রক্তের ও অনেক সময়ের প্রয়োজন যা ব্যয়বহুল। দরিদ্র অসহায় রোগীদের ক্ষেত্রে প্লাজমা তৈরি ও সংগ্রহ প্রায় দুঃসাধ্য ব্যাপার।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে